ভারতের মহারাষ্ট্রের নাগপুরে মুঘল সম্রাট আওরঙ্গজেবের সমাধি সরানোর দাবিকে কেন্দ্র করে ব্যাপক সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। সোমবার (১৭ মার্চ) রাতে শহরের মহল এলাকায় বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে সংঘর্ষে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে পরিস্থিতি। যানবাহনে অগ্নিসংযোগ ও পাথর নিক্ষেপের ঘটনায় পুলিশ কারফিউ জারি করতে বাধ্য হয়েছে।
কীভাবে শুরু হলো সহিংসতা?
বিশ্ব হিন্দু পরিষদ ও বজরং দল সম্রাট আওরঙ্গজেবের কুশপুত্তলিকা দাহ করে এবং তার সমাধি অপসারণের দাবিতে স্লোগান তোলে। এরপরই গুজব ছড়িয়ে পড়ে যে কিছু ধর্মীয় প্রতীক অবমাননার শিকার হয়েছে। একপর্যায়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়, শুরু হয় সহিংসতা।
পুলিশের কঠোর অবস্থান
মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়নভিস জানান, এই সংঘর্ষ পূর্বপরিকল্পিত বলে মনে হচ্ছে। তিনি বলেন, সন্ধ্যার নামাজের পর প্রায় ২৫০ জনের বেশি মানুষ একত্রিত হয়ে স্লোগান দিতে থাকলে উত্তেজনা চরমে পৌঁছায়।
নাগপুরের পুলিশ কমিশনার রবিন্দর সিঙ্গল জানান, সহিংসতার ঘটনায় ৫০ জনের বেশি ব্যক্তিকে আটক করা হয়েছে, আহত হয়েছেন ৩৩ জন পুলিশ সদস্য।
আওরঙ্গজেবের সমাধি নিয়ে বিতর্ক
৩০০ বছরের বেশি পুরনো আওরঙ্গজেবের সমাধি সাম্প্রতিক বছরগুলোতে কট্টর হিন্দু গোষ্ঠীগুলোর অন্যতম আক্রমণের লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হয়েছে। এটি নাগপুর থেকে প্রায় ৫০০ কিলোমিটার দূরে ছত্রপতি সম্ভাজিনগর জেলায় অবস্থিত।
বর্তমান পরিস্থিতি
পুলিশের দাবি, পরিস্থিতি এখন নিয়ন্ত্রণে রয়েছে, তবে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে কারফিউ বলবৎ থাকবে। শহরজুড়ে পুলিশি টহল জোরদার করা হয়েছে এবং নাগরিকদের শান্তি বজায় রাখার আহ্বান জানানো হয়েছে।


