বাংলাদেশ নিয়ে মার্কিন ন্যাশনাল ইন্টেলিজেন্সের প্রধান তুলসী গ্যাবার্ডের সাম্প্রতিক মন্তব্য ঘিরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপক আলোচনা শুরু হয়েছে। তিনি বলেছেন, বাংলাদেশে সংখ্যালঘু নির্যাতন ও উগ্রবাদের উত্থান নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র গভীরভাবে উদ্বিগ্ন।
ভারত সফরে গিয়ে এনডিটিভিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে গ্যাবার্ড বলেন, "দীর্ঘদিন ধরে বাংলাদেশে হিন্দু, খ্রিস্টান, বৌদ্ধ এবং অন্যান্য ধর্মীয় সংখ্যালঘুরা নির্যাতনের শিকার হচ্ছেন। এটি যুক্তরাষ্ট্রের জন্য গুরুত্বপূর্ণ উদ্বেগের বিষয়।"
এই মন্তব্য প্রকাশের পরপরই বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার প্রতিবাদ জানিয়ে এক বিবৃতিতে একে ‘ভিত্তিহীন’ ও ‘বাংলাদেশের সুনাম ক্ষুণ্ণকারী’ বলে অভিহিত করে। সরকার দাবি করেছে, কোনো নির্ভরযোগ্য তথ্যের ভিত্তিতে নয়, বরং অতিরঞ্জিত ও বিভ্রান্তিকর উপস্থাপনার মাধ্যমে বাংলাদেশকে আক্রমণ করা হয়েছে।
বিশ্লেষকরা বলছেন, গ্যাবার্ডের বক্তব্য যুক্তরাষ্ট্রের নীতির প্রতিফলন নাও হতে পারে, বরং এটি একটি ব্যক্তিগত পর্যবেক্ষণ। সাবেক কূটনীতিক হুমায়ুন কবিরের মতে, “বাংলাদেশের বাস্তব অবস্থা সম্পর্কে গ্যাবার্ড সম্পূর্ণভাবে অবগত নন, তাই তাকে যথাযথ তথ্য দিলে তার দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তন হতে পারে।"
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক ইমতিয়াজ আহমেদ মনে করেন, "সরকারকে সংখ্যালঘু সুরক্ষায় নেওয়া পদক্ষেপগুলো আরও জোরালোভাবে তুলে ধরতে হবে।"
বাংলাদেশের বিভিন্ন মহল মনে করছে, এই মন্তব্যের পেছনে রাজনৈতিক উদ্দেশ্য থাকতে পারে। তবে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্ক বজায় রাখতে বাংলাদেশের উচিত কূটনৈতিকভাবে সঠিক বার্তা প্রদান করা এবং বাস্তব চিত্র তুলে ধরা।


