জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে (ইউএনএসসি) জাফর এক্সপ্রেসে নিষিদ্ধ ঘোষিত বেলুচিস্তান লিবারেশন আর্মি (বিএলএ)-এর সন্ত্রাসী হামলার বিষয়টি আনুষ্ঠানিকভাবে উত্থাপন করেছে পাকিস্তান। দেশটি অভিযোগ করেছে, আফগানিস্তান সন্ত্রাসী গোষ্ঠীগুলোর বিরুদ্ধে কার্যকর ব্যবস্থা নিতে ব্যর্থ হয়েছে এবং সীমান্তবর্তী হামলায় মদদ দিচ্ছে।

পাকিস্তানের সঙ্গে আফগানিস্তানের তালেবান সরকারের বিরোধ ক্রমেই বাড়ছে, আর এর মধ্যে ট্রেনে সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা সম্পর্ককে আরও অবনতির দিকে ঠেলে দিয়েছে।

এমন পরিস্থিতিতে পাকিস্তান তেহরিক-এ-ইনসাফের (পিটিআই) প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান ইমরান খানের বোন আলিমা খান মঙ্গলবার সাংবাদিকদের জানান, তার ভাই বলেছেন, ‘আফগানিস্তান আমাদের শত্রু নয়, তাহলে কেন তাদের শত্রু বানানোর চেষ্টা চলছে?’

তিনি আরও বলেন, ‘মুসলিম ভাইদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ শুরু করার পরিকল্পনা কেন?’ এই মন্তব্যগুলো ইমরান খান তাকে ব্যক্তিগতভাবে বলেছেন, যখন তিনি আদিয়ালা জেলে তার ভাইয়ের সাথে দেখা করেন।

বুধবার (১৯ মার্চ) এক প্রতিবেদনে এ খবর প্রকাশ করেছে দ্য নিউজ ইন্টারন্যাশনাল।

আলিমা জানান, পিটিআই প্রতিষ্ঠাতা বলেছেন, তার দল শুধুমাত্র তার অনুমতি নিয়ে জাতীয় নিরাপত্তা কমিটির সভায় যাবে। এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ‘গ্রাফ দেখুন, ২০২১ সালের মধ্যে সন্ত্রাসবাদ কমেছিল, কিন্তু ২০২২ সালে তা আবার বাড়তে শুরু করেছে।’

তিনি বলেন, ইমরান বর্তমানে পত্রিকা পড়ছেন না এবং তার টিভি সেটও বন্ধ রয়েছে। আলিমা খান আরও জানান, গত ছয় মাসে ইমরান শুধুমাত্র চার বার তার সন্তানদের সাথে ফোনে কথা বলেছেন।

এদিকে, পিটিআইয়ের কেন্দ্রীয় তথ্য সচিব শেখ ওয়াকাস আকরাম বলেন, রাষ্ট্র যদি মৌলিক ও দ্রুত পরিবর্তন না আনে, তবে দেশে শান্তি ও স্থিতিশীলতা আসবে না।

তিনি বলেন, ক্ষমতাসীনদের স্বার্থপর নীতির কারণে দেশ বিভক্ত হচ্ছে, আর জনগণ ন্যায্য অধিকার থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।

তিনি দাবি করেন, সংবিধানের সীমানার মধ্যে থেকে রাষ্ট্র পরিচালনা করতে হবে এবং জনগণের অধিকারকে প্রাধান্য দিতে হবে।

তিনি আরও বলেন, ‘পাকিস্তান অস্তিত্ব সংকটে ভুগছে, খাইবার পাখতুনখোয়া ও বেলুচিস্তানে পরিস্থিতি আরও জটিল হচ্ছে। দ্রুত কার্যকর পদক্ষেপ না নিলে ভয়াবহ পরিণতি দেখা দিতে পারে।’

তিনি আরও বলেন, ‘ক্ষমতাসীনরা ইমরান খান ও পিটিআইকে দমনের চেষ্টা চালাচ্ছে, কিন্তু প্রকৃত সমাধানের জন্য তারা তার সঙ্গে সংলাপে বসতে রাজি নয়।’

news