ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় নতুন ইসরায়েলি হামলায় চার শতাধিক মানুষ নিহত এবং শত শত ফিলিস্তিনি আহত হয়েছেন। ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু এই হামলাকে ‘শুরু মাত্র’ বলে অভিহিত করেছেন এবং হুঁশিয়ারি দিয়েছেন, ‘এটা কেবল শুরু। আমরা হামাসের বিরুদ্ধে ক্রমবর্ধমান তীব্রতার সঙ্গে পদক্ষেপ নেব এবং আমাদের যুদ্ধ লক্ষ্য পূরণে লড়াই চালিয়ে যাব।’
মঙ্গলবার ভোরে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী আকস্মিকভাবে গাজায় নির্বিচারে বোমা হামলা শুরু করে। পবিত্র রমজান মাসে অনেকেই সেহরি খাচ্ছিলেন, তখনই এই হামলা ও বিস্ফোরণ ঘটে। এ হামলায় কমপক্ষে ৪০৪ জন নিহত এবং ৫৬২ জনেরও বেশি মানুষ আহত হন। এটি গত ১৯ জানুয়ারি যুদ্ধবিরতির পর গাজায় সবচেয়ে বড় বিমান হামলা ছিল।
ছবিগুলোতে নিহতদের মধ্যে বেশিরভাগই বেসামরিক নাগরিক, বিশেষ করে নারী ও শিশু। তাদের বেশিরভাগই বাড়িতে হামলা চালিয়ে নিহত হয়েছেন। নেতানিয়াহু দাবি করেছেন, তারা যুদ্ধবিরতি বাড়িয়েছিলেন, তবে বিনিময়ে কোন জিম্মি ফেরত পাওয়া যায়নি এবং হামাস প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছে।
ইসরায়েলি গণমাধ্যম জানায়, মার্কিন দূত স্টিভ উইটকফ উভয় পক্ষকে ৫০ দিনের যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব দেন, যার মধ্যে ইসরায়েলি বন্দীদের মুক্তি এবং ফিলিস্তিনিদের মুক্তির পাশাপাশি মানবিক সহায়তা প্রবেশের ব্যবস্থা ছিল। তবে হামাস এই প্রস্তাব গ্রহণ করলেও, নেতানিয়াহু বলেছেন যে, হামাস বন্দীদের মুক্তি না দিলে যুদ্ধ আবার শুরু হবে।
এদিকে, গাজায় ৫৯ জন ইসরায়েলি আটক রয়েছেন, যাদের মধ্যে ২৪ জন জীবিত। তবে ৯ হাজার ৫০০ ফিলিস্তিনি ইসরায়েলি কারাগারে বন্দী। ১৯ জানুয়ারি যুদ্ধবিরতি কার্যকর হলেও, নেতানিয়াহু দ্বিতীয় ধাপে প্রবেশ করতে অস্বীকার করেছেন, কারণ তাতে গাজা থেকে ইসরায়েলি বাহিনী প্রত্যাহার করার কথা বলা হয়েছিল।


