বাংলাদেশি কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে উত্থাপিত অভিযোগগুলোর বিরুদ্ধে দৃঢ় প্রতিক্রিয়া জানিয়ে, যুক্তরাজ্যের সাবেক মন্ত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভাগ্নি টিউলিপ সিদ্দিক অভিযোগ করেছেন যে, এসব অভিযোগ ‘মিথ্যা’ এবং ‘উদ্দেশ্যপ্রণোদিত’। তিনি বলেন, বাংলাদেশের কর্তৃপক্ষ পরিকল্পিতভাবে তার বিরুদ্ধে ভিত্তিহীন প্রচারণা চালাচ্ছে, যা শুধু তার সুনাম ক্ষুণ্ন করার চেষ্টা।

বাংলাদেশের দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) শেখ হাসিনা ও তার পরিবারের বিরুদ্ধে বিপুল পরিমাণ রাষ্ট্রীয় অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ তদন্ত করছে। তিনটি তদন্তের মধ্যে টিউলিপ সিদ্দিকের নাম রয়েছে, যেখানে তাকে রাশিয়া থেকে পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্প চুক্তির মাধ্যমে লাভবান হওয়া, ঢাকায় জমি দখল এবং অর্থ পাচারের অভিযোগে অভিযুক্ত করা হয়েছে।

এ সব অভিযোগ অস্বীকার করে, টিউলিপ সিদ্দিক তার আইনজীবীদের মাধ্যমে একটি আইনি নোটিশ পাঠিয়েছেন, যেখানে দাবি করা হয়েছে যে, বাংলাদেশি কর্তৃপক্ষ তার বিরুদ্ধে এসব অভিযোগ ন্যায্য এবং স্বচ্ছভাবে উপস্থাপন করেনি। বরং তা উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে গণমাধ্যমে প্রচার করা হচ্ছে।

আইনি নোটিশে আরও বলা হয়েছে যে, টিউলিপ সিদ্দিকের বিরুদ্ধে ভিত্তিহীন অভিযোগ বন্ধ করতে এবং এসব বিষয়ে গণমাধ্যমে প্রচার বন্ধ করার জন্য বাংলাদেশি কর্তৃপক্ষকে আহ্বান জানানো হয়েছে। দুদক জানিয়েছে যে, রাশিয়ার সঙ্গে ২০১৩ সালের পারমাণবিক চুক্তি থেকে শেখ হাসিনা বিপুল অর্থ আত্মসাৎ করেছেন এবং টিউলিপ সিদ্দিকও এর মাধ্যমে উপকৃত হয়েছেন। তবে টিউলিপ সিদ্দিকের আইনজীবীরা দাবি করেছেন যে, তার লন্ডনের ফ্ল্যাটটি ২০০৪ সালে তার গডফাদার দ্বারা উপহার দেওয়া হয়েছিল, যা রাশিয়ার চুক্তির এক দশক আগে।

এছাড়া, ঢাকায় জমি দখলের অভিযোগের বিষয়ে টিউলিপ সিদ্দিক দাবি করেন, তিনি কখনো সেখানে জমির মালিক ছিলেন না। বরং তার অন্য একটি ফ্ল্যাট বৈধভাবে বোনের কাছে হস্তান্তর করেছিলেন।

news