গাজা উপত্যকায় যুদ্ধবিরতির দাবিতে এবং প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর সরকারের বিরুদ্ধে ইসরায়েলের রাজপথে নেমেছে হাজারো মানুষ। গণতন্ত্র রক্ষার আহ্বান জানিয়ে বিক্ষোভকারীরা দাবি তুলেছেন, নেতানিয়াহুর সরকার দেশকে রাজনৈতিক সংকটের দিকে ঠেলে দিচ্ছে।
বিক্ষোভে অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি

তেল আবিব ও জেরুজালেমজুড়ে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ায় গুরুত্বপূর্ণ সড়কগুলো অচল হয়ে পড়ে। পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়ালে অন্তত ১২ জনকে আটক করা হয়। আয়োজকদের মতে, এই আন্দোলন আরও বড় পরিসরে ছড়িয়ে পড়তে পারে।
গাজায় হামলা, যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন এবং নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে ক্ষোভ

এই বিক্ষোভের পেছনে মূল কারণ হল—গাজায় যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করে ইসরায়েলের নতুন হামলা। গত কয়েক দিনে ইসরায়েলের বিমান হামলায় প্রায় ৬০০ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন বলে আল-জাজিরা জানিয়েছে। বিক্ষোভকারীরা বলছেন, নেতানিয়াহুর সরকার রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে যুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছে এবং গাজায় হামাসের হাতে আটক ৫৯ জন জিম্মির বিষয়ে কোনো উদ্যোগ নিচ্ছে না।
‘নেতানিয়াহুর সরকার সব বৈধতা হারিয়েছে’

ব্রাদার্স ইন আর্মস আন্দোলনের প্রধান ইতান হার্জেল বলেন, ‘এই সরকার জনগণের দৃষ্টি অন্যদিকে সরাতে ইচ্ছাকৃতভাবে যুদ্ধ জিইয়ে রাখছে। তারা নিজেদের ব্যর্থতা ঢাকতে যুদ্ধকে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করছে।’

বিক্ষোভকারীরা স্লোগান দেন, ‘এখনই জিম্মি মুক্তির চুক্তি করুন’, ‘ইসরায়েল গণতন্ত্র রক্ষা করো!’
দুর্নীতি মামলা ও রাজনৈতিক সংকট

নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে দুর্নীতির বিচার চলছে এবং এটি প্রমাণিত হলে তাকে কারাদণ্ড ভোগ করতে হতে পারে। তিনি বর্তমানে সপ্তাহে দুইবার আদালতে হাজিরা দিচ্ছেন। তাছাড়া, রাজনৈতিক প্রতিপক্ষরা তার পদত্যাগ দাবি করলেও তিনি এখনো অনড় অবস্থানে আছেন।

এই বিক্ষোভ ইসরায়েলের রাজনৈতিক ভবিষ্যতের জন্য বড় ইঙ্গিত বহন করছে। নেতানিয়াহুর সরকার টিকবে, নাকি গণআন্দোলনের চাপে ভেঙে পড়বে—তা এখন সময়ই বলে দেবে!

news