সৌদি আরবের প্রতিরক্ষা সক্ষমতা আরও শক্তিশালী করতে প্রথমবারের মতো উচ্চ-প্রযুক্তির লেজার-নিয়ন্ত্রিত রকেট বিক্রির অনুমোদন দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। আনুমানিক ১০০ মিলিয়ন ডলারের এই অস্ত্র চুক্তির বিষয়ে নিশ্চিত করেছে মার্কিন প্রতিরক্ষা দপ্তর পেন্টাগন।

শক্তিশালী ‘এপিকেডব্লিউএস’ রকেটের বৈশিষ্ট্য

দ্য অ্যাডভান্সড প্রিসিশন কিল ওয়েপন সিস্টেম (এপিকেডব্লিউএস) হলো অত্যাধুনিক লেজার-নিয়ন্ত্রিত রকেট, যা নির্ভুলভাবে আকাশ ও স্থলের লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে সক্ষম। বৃহস্পতিবার (২০ মার্চ) এক বিবৃতিতে পেন্টাগন জানিয়েছে, এই অস্ত্র ব্যবহারের মাধ্যমে সৌদি আরব বর্তমান ও ভবিষ্যতের হুমকি আরও দক্ষতার সঙ্গে মোকাবিলা করতে পারবে।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সৌদি আরব এই রকেটের মাধ্যমে হুতি বিদ্রোহীদের স্বল্পমূল্যের সামরিক ড্রোন সহজেই ধ্বংস করতে পারবে। এদিকে, পেন্টাগনের ডিফেন্স সিকিউরিটি কোঅপারেশন এজেন্সি জানিয়েছে, এই অস্ত্রচুক্তির আওতায় ২,০০০টি ‘এপিকেডব্লিউএস’ রকেট এবং প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি ও প্রশিক্ষণ অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।

মার্কিন পররাষ্ট্রনীতিতে নতুন পদক্ষেপ

পেন্টাগন জানিয়েছে, এই অস্ত্রচুক্তি কেবল সৌদি আরবের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে শক্তিশালী করবে না, বরং এটি যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রনীতি ও জাতীয় নিরাপত্তা লক্ষ্য অর্জনে সহায়তা করবে। বিশেষ করে, গালফ অঞ্চলে রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক ভারসাম্য বজায় রাখতে এই পদক্ষেপ গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছে মার্কিন প্রশাসন।

তবে চুক্তি অনুমোদন পেলেও এখনো কোনো চূড়ান্ত স্বাক্ষর হয়নি। পেন্টাগন বলেছে, সম্পূর্ণ চুক্তিটি বিএই সিস্টেমসের মাধ্যমে সম্পন্ন করা হবে।

এই অস্ত্র বিক্রির ঘোষণা এমন এক সময় এলো, যখন যুক্তরাষ্ট্র ইয়েমেনে হুতি বিদ্রোহীদের ওপর ধারাবাহিক হামলা চালিয়ে যাচ্ছে। গত শনিবার পরিচালিত এক অভিযানে ৩১ জন নিহত হয়েছে বলে জানা গেছে। বিশ্লেষকদের মতে, এই চুক্তি মধ্যপ্রাচ্যের ভূরাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে বড় ধরনের পরিবর্তন আনতে পারে।

news