যুদ্ধের মাঝেই ভয়াবহ সংকটে পড়েছে ইসরায়েল। দেশটির প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর একচ্ছত্র শাসনব্যবস্থার বিরুদ্ধে এখন নিজ দেশের জনগণই বিদ্রোহের পথে হাঁটছে। শিন বেতের প্রধান রোনেন বারকে বহিষ্কার করার সিদ্ধান্তে দেশজুড়ে তীব্র উত্তেজনা দেখা দিয়েছে, যা গৃহযুদ্ধের আশঙ্কা তৈরি করেছে এবং ইসরায়েলের অর্থনীতিকে অচল করে দিতে পারে

অর্থনীতির চাকা বন্ধের হুঁশিয়ারি

ইসরায়েলের শীর্ষ ২০০ কোম্পানির প্রতিনিধিত্বকারী ইসরায়েল বিজনেস ফোরাম (ABF) কড়া হুঁশিয়ারি দিয়েছে যে, যদি নেতানিয়াহুর সরকার আদালতের আদেশ লঙ্ঘন করে, তবে তারা সারাদেশের অর্থনীতি অচল করে দেবে

এক বিবৃতিতে সংগঠনটি বলেছে, “যদি সরকার আদালতের সিদ্ধান্ত মানতে অস্বীকার করে এবং গণতন্ত্রকে ধ্বংসের পথে ঠেলে দেয়, তাহলে আমরা পুরো ইসরায়েলি জনগণকে সরকারের সিদ্ধান্তকে অগ্রাহ্য করতে বলব এবং আমরা ইসরায়েলের অর্থনীতিকে স্তব্ধ করে দেব।”

বিক্ষোভে উত্তাল ইসরায়েল, ধর্মঘটের হুমকি

ইসরায়েলের বৃহত্তম শ্রমিক সংগঠন হিসতাদ্রুতের প্রধান আরমোন বার-ডেভিড স্পষ্টভাবে বলেছেন, “সরকার আদালতের আদেশ মানতে অস্বীকার করলে আমি চুপচাপ বসে থাকব না।” মূলত, তিনি সারাদেশে ধর্মঘটের হুমকি দিয়েছেন

এদিকে, সাধারণ জনগণও রাস্তায় নেমেছে। নেতানিয়াহুর স্বৈরাচারী সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে তারা ব্যাপক বিক্ষোভ করছে। বিক্ষোভকারীরা বলছেন, নেতানিয়াহু স্বৈরশাসকে পরিণত হয়েছেন এবং বিরোধীদের দমন করতেই তিনি শিন বেতের প্রধানকে সরিয়ে দিতে চান।

গৃহযুদ্ধের শঙ্কা বাড়ছে

ইসরায়েলের সুপ্রিম কোর্টের সাবেক প্রধান আহারন বারাক সতর্ক করেছেন, শিন বেতের প্রধানকে বহিষ্কার করা মানেই ইসরায়েলকে গৃহযুদ্ধের দিকে ঠেলে দেওয়া

তবে এই অভিযোগ অস্বীকার করে নেতানিয়াহু এক ভিডিও বার্তায় বলেছেন, "কোনও গৃহযুদ্ধ হবে না। ইসরায়েল আইন ও শৃঙ্খলার দেশ। সরকারই সিদ্ধান্ত নেবে কে শিন বেতের প্রধান হবেন।"

কিন্তু পরিস্থিতি যা ইঙ্গিত দিচ্ছে, তাতে স্পষ্ট যে নেতানিয়াহুর ক্ষমতা টিকিয়ে রাখার মরিয়া চেষ্টাই ইসরায়েলকে ভয়াবহ বিপর্যয়ের দিকে ঠেলে দিচ্ছে

news