ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাসের সামরিক গোয়েন্দা প্রধান ওসামা তাবাশ ইসরায়েলের বিমান হামলায় নিহত হয়েছেন। ইসরায়েল প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) দাবি করেছে, গত ২০ মার্চ দক্ষিণ গাজায় চালানো এক বিমান হামলায় তিনি নিহত হন।
ইসরায়েলের হামলার লক্ষ্যবস্তু তাবাশ

আইডিএফের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, তাবাশ হামাসের নজরদারি ও নিশানা (টার্গেটিং) ইউনিটের প্রধান ছিলেন। তিনি খান ইউনিস ব্রিগেডের ব্যাটালিয়ন কমান্ডার হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছিলেন এবং স্থল যুদ্ধকৌশল নির্ধারণ করতেন। গাজা উপত্যকার দক্ষিণ অংশে তার উপস্থিতি ছিল সবচেয়ে বেশি। ইসরায়েল এই হত্যাকে একটি বড় সাফল্য হিসেবে দেখছে।
ইসরায়েলের অতীত অভিযোগ ও হামাসের নীরবতা

আইডিএফের দাবি, ২০০৫ সালে গাজা উপত্যকার গাশ কাটিফ জংশনে চালানো আত্মঘাতী বোমা হামলার মূল পরিকল্পনাকারী ছিলেন তাবাশ। এছাড়া, বিগত কয়েক বছরে হামাসের একাধিক হামলার মূল হোতা বলেও তাকে চিহ্নিত করেছে ইসরায়েল।

তাবাশের গোয়েন্দা দক্ষতা সম্পর্কে ইসরায়েল বলছে, তার পরিকল্পনার কারণেই হামাস ইসরায়েলি বাহিনীর বেশ কিছু হামলা প্রতিহত করতে সক্ষম হয়েছিল। তবে, হামাস এখনো তার মৃত্যুর বিষয়ে কোনো আনুষ্ঠানিক বিবৃতি দেয়নি।
হামাসের ভবিষ্যৎ লড়াই কি দুর্বল হবে?

তাবাশের মৃত্যুতে হামাসের সামরিক শক্তি কতটা দুর্বল হবে, তা এখনই স্পষ্ট নয়। তবে, ইসরায়েলের দাবি, এই হত্যাকাণ্ড হামাসের সামরিক কার্যক্রমে বড় ধাক্কা হয়ে দাঁড়াবে এবং ভবিষ্যতে ইসরায়েলের জন্য লড়াই আরও সহজ হবে।

তবে বাস্তবতা হলো, ফিলিস্তিনের প্রতিরোধ আন্দোলন বারবার নেতাদের হারিয়েও টিকে আছে। তাই এই হামলা নতুন কোনো প্রতিশোধের জন্ম দেয় কি না, সেটিই এখন দেখার বিষয়।

news