ইউক্রেনে সেনা পাঠানোর বিষয়ে ইউরোপের ২০ দেশের বৈঠক, কী সিদ্ধান্ত নিল বিশ্বনেতারা?
ইউক্রেনে সরাসরি সেনা পাঠানো হবে কি না, তা নিয়ে ইউরোপের ২০টি দেশের রাষ্ট্রনেতারা লন্ডনের নর্থউডে এক জরুরি বৈঠকে মিলিত হন শুক্রবার (২১ মার্চ)।
বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়, আপাতত যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় প্রস্তাবিত যুদ্ধবিরতি কার্যকর হচ্ছে কি না, তা নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করা হবে। স্টারমার বৈঠক শেষে বলেন, “ভ্লাদিমির পুতিন যদি যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করেন, তবে তার ফল ভয়াবহ হবে।” যদিও সরাসরি সেনা পাঠানোর বিষয়ে কোনো চূড়ান্ত ঘোষণা আসেনি, তবে ইউরোপীয় নেতারা জানিয়ে দিয়েছেন, ইউক্রেনকে আরও বড় সামরিক সহায়তা দেওয়ার পরিকল্পনা করা হচ্ছে।
ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) ইতোমধ্যেই প্রতিরক্ষা খাতে অর্থ বরাদ্দ বাড়িয়ে ইউক্রেনকে সহায়তা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। চলতি মাসের শুরুতে ইইউ ১৫ হাজার কোটি ইউরো ঋণ নেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়, যার বড় অংশই যাবে ইউক্রেনের সামরিক সহায়তায়।
তবে, যুক্তরাষ্ট্রের ভূমিকায় এসেছে বড় পরিবর্তন। সাবেক প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের প্রশাসন ইউক্রেনকে ব্যাপক সহায়তা দিলেও, বর্তমান প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ক্ষমতায় আসার পর তা গুটিয়ে নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন। এ অবস্থায়, ইউরোপীয় দেশগুলো নিজেদের সামরিক তৎপরতা আরও বাড়ানোর উদ্যোগ নিয়েছে।
এদিকে, রাশিয়া ও মার্কিন প্রেসিডেন্টের মধ্যে সাম্প্রতিক টেলিফোন সংলাপে পুতিন ৩০ দিনের যুদ্ধবিরতির প্রতিশ্রুতি দিলেও, ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি সেই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছেন। ফলে, যুদ্ধের অগ্রগতি নিয়ে বিশ্বজুড়ে উদ্বেগ বাড়ছে।
এই বৈঠকের পর ইউক্রেন সংকট নতুন মোড় নিতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। ইউরোপ সরাসরি সেনা পাঠাবে কি না, তা এখনও স্পষ্ট নয়, তবে রাশিয়ার বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নিতে প্রস্তুত ইউরোপীয় নেতারা।


