মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নতুন কৌশল ঘিরে বিশ্বজুড়ে বিতর্ক ছড়িয়ে পড়েছে। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির সঙ্গে ফোনালাপের আগে ট্রাম্প ইউক্রেনের পরমাণু বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলো আমেরিকার নিয়ন্ত্রণে নেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছেন, যা দেশটির সার্বভৌমত্বের জন্য বড় হুমকি বলে মনে করা হচ্ছে।
ট্রাম্পের পরিকল্পনা নিয়ে উদ্বেগ

ফিনান্সিয়াল টাইমসের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ইউক্রেনের পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলোর মালিকানা দখলের চেষ্টা করছে। তারা যৌথ বিনিয়োগ তহবিলের নামে কিয়েভের উপর চাপ সৃষ্টি করছে, যাতে ভবিষ্যতে এসব গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনার উপর ওয়াশিংটন পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ নিতে পারে।

জেলেনস্কি অবশ্য এই দাবিকে প্রত্যাখ্যান করে বলেছেন, “ইউক্রেনের পরমাণু কেন্দ্র শুধু ইউক্রেনীয়দের, অন্য কারও নয়।”
ইউক্রেনের জন্য বাজেট দেবে না ইউরোপ

এদিকে ইউক্রেনের সামরিক সহায়তা নিয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) ভেতরেই দ্বিধাবিভক্তি দেখা দিয়েছে। বৃহস্পতিবার এক বৈঠকে ইইউ নেতারা ঘোষণা দিয়েছেন, তারা ইউক্রেনের পাশে থাকলেও জেলেনস্কির অনুরোধ করা বাজেট অনুমোদন করবেন না।

জেলেনস্কি ইউরোপীয় নেতাদের কাছে ৫ বিলিয়ন ইউরো (প্রায় ৫.৪২ বিলিয়ন ডলার) বাজেট চেয়েছিলেন, যা কামানের গোলা কেনার জন্য প্রয়োজনীয়। কিন্তু অর্থনৈতিক মন্দার মুখে ইউরোপিয়ান নেতারা নতুন সামরিক সহায়তা পরিকল্পনায় একমত হতে পারেননি।
“আমি কোনো তারিখ দিইনি” – ট্রাম্পের মন্তব্য

ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধে ট্রাম্পের বক্তব্যও নতুন আলোচনার জন্ম দিয়েছে। তিনি বলেছেন, "আমি এখনও পুতিনকে কোনো নির্দিষ্ট তারিখ দেইনি, তবে শিগগিরই এই যুদ্ধের ধ্বংসাত্মক পরিস্থিতি বন্ধ হবে।”

এছাড়া, ট্রাম্প আবারও দাবি করেন, "যদি হোয়াইট হাউসে যোগ্য কোনো প্রেসিডেন্ট থাকতো, তাহলে ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুই হত না।"

বিশ্লেষকদের মতে, ইউক্রেনের পারমাণবিক স্থাপনাগুলো নিয়ে ট্রাম্পের পরিকল্পনা বাস্তবায়িত হলে দেশটি আরও জটিল ভূরাজনৈতিক পরিস্থিতির মুখে পড়বে, যেখানে শুধু রাশিয়া নয়, আমেরিকার প্রভাবও নতুন উদ্বেগ সৃষ্টি করবে।

news