ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও তার হিন্দুত্ববাদী সরকার দেশের সংখ্যালঘুদের দমন-পীড়নের জন্য রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসকে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করছে। কাশ্মীর মিডিয়া সার্ভিসের প্রতিবেদনে উঠে এসেছে, জাতিগত বৈষম্য দূরীকরণের আন্তর্জাতিক দিবসে ভারতবর্ষে উল্টো ধর্মীয় বিভাজন ও ঘৃণা আরও উস্কে দেওয়া হচ্ছে।
সংখ্যালঘুদের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রীয় নীতি?

বিশ্লেষকরা বলছেন, মুসলমান, খ্রিস্টান, দলিত ও শিখদের প্রতি নিপীড়ন এখন বিজেপি সরকারের নীতিতে পরিণত হয়েছে। মুসলমানদের বিরুদ্ধে ঘৃণাত্মক প্রচার ও বর্ণবাদী মানসিকতা প্রকাশ্যে উৎসাহিত করা হচ্ছে, যা ভারতের গণতান্ত্রিক কাঠামোর জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে।

বিশ্বের অন্যতম প্রাচীন বর্ণবাদী ব্যবস্থা হিসেবে পরিচিত হিন্দু বর্ণপ্রথা এখনও ভারতে সক্রিয়। আধুনিকতার আড়ালে এই জাতিগত শ্রেষ্ঠত্ববাদ লক্ষ লক্ষ নিম্নবর্ণের মানুষের জীবন দুর্বিষহ করে তুলছে। দলিত, মুসলমান ও অন্যান্য সংখ্যালঘুরা নিয়মিত নিপীড়নের শিকার হলেও সরকার তা দমনের পরিবর্তে উৎসাহিত করছে।
মোদির নেতৃত্বে উগ্র হিন্দুত্ববাদী উত্থান

বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রতিবেদন অনুযায়ী, বিজেপির শাসনামলে সংখ্যালঘুদের উপর সহিংসতা ব্যাপকভাবে বেড়েছে। ক্ষমতাসীন দলের নেতারা প্রকাশ্যে মুসলমানদের বিরুদ্ধে বিদ্বেষমূলক বক্তব্য দিচ্ছেন এবং গণহত্যার ডাক পর্যন্ত দেওয়া হচ্ছে।
কাশ্মীর ও মোদি সরকারের ফ্যাসিবাদী রূপ

কাশ্মীরের জনগণ দীর্ঘদিন ধরে মোদির ফ্যাসিবাদী নীতির শিকার। সেখানে দমন-পীড়ন ও সামরিক দখলদারিত্ব বেড়েই চলেছে। বিশ্লেষকরা বলছেন, মোদি সরকারের অধীনে ভারত আজ বর্ণবাদী রাষ্ট্রে পরিণত হয়েছে, যেখানে সংখ্যালঘুরা প্রতিনিয়ত পদ্ধতিগত নিপীড়নের শিকার হচ্ছে।

news