আগামী ২ থেকে ৪ এপ্রিল থাইল্যান্ডের ব্যাংককে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে ষষ্ঠ বিমসটেক সম্মেলন। এই সম্মেলনের ফাঁকে বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির দ্বিপক্ষীয় বৈঠকের প্রস্তাব পাঠিয়েছে ঢাকা। তবে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমসের প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে, এই বৈঠকটি হচ্ছে না।
ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর মন্তব্য

ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর অবশ্য বৈঠকের সম্ভাবনা পুরোপুরি নাকচ করেননি। ২২ মার্চ দেশটির পররাষ্ট্র বিষয়ক সংসদীয় পরামর্শক কমিটির বৈঠকে তিনি জানান, ‘এটি এখনো বিবেচনাধীন আছে।’

সংসদীয় কমিটির এক সদস্য প্রশ্ন করেন, প্রধানমন্ত্রী মোদি বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠক করবেন কি না। উত্তরে জয়শঙ্কর স্পষ্ট করে কিছু না জানালেও জানান, এটি নিয়ে আলোচনা চলছে।
ভারত কি বাংলাদেশ পরিস্থিতির ওপর নজর রাখছে?

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম দ্য হিন্দুর এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সংসদীয় পরামর্শক কমিটির বৈঠকে এস জয়শঙ্কর স্বীকার করেন, ভারত শেখ হাসিনাবিরোধী আন্দোলনের ব্যাপারে অবগত ছিল। তবে তিনি দাবি করেন, ভারত সেই আন্দোলনে কোনো হস্তক্ষেপ করেনি। কারণ, শেখ হাসিনার ওপর ‘প্রয়োজনীয় প্রভাব’ খাটানোর ক্ষমতা তাদের ছিল না। শুধু পরামর্শ দেওয়া ছাড়া ভারতের হাতে অন্য কোনো উপায় ছিল না।

বিশ্লেষকদের মতে, ড. ইউনূস ও মোদির বৈঠক নিয়ে ভারতের দ্বিধা-দ্বন্দ্বের কারণ হতে পারে আঞ্চলিক রাজনৈতিক সমীকরণ ও কূটনৈতিক কৌশল। এখন দেখার বিষয়, শেষ পর্যন্ত মোদি-ইউনূস বৈঠক বাস্তবে রূপ নেয় কি না!

news