ইস্তাম্বুলের মেয়র একরেম ইমামোলুকে দুর্নীতির অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, আর এই গ্রেপ্তারির পর তুরস্কে বিক্ষোভের ঢেউ উঠেছে। প্রথমে তাকে আটক করা হলেও পরে আদালতের নির্দেশে গ্রেপ্তার করে মারমারা জেলে পাঠানো হয়। এই ঘটনায় তুরস্কের জনগণ ক্ষুব্ধ হয়ে রাজপথে নেমে আসে, যেখানে কয়েক হাজার মানুষ বিক্ষোভে অংশ নেয়। রোববার সেই বিক্ষোভে যোগ দেন ইমামোলুর স্ত্রী দিলেক কায়া ইমামোলু। তিনি দাবি করেন, "এবার এরদোয়ানের সময় শেষ, তিনি আর ক্ষমতায় থাকতে পারবেন না। একরেম ইমামোলুকে অন্যায়ভাবে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। দেশের জনগণের সঙ্গে অবিচার হচ্ছে, এবং এর দায়িত্ব এরদোয়ানকেই নিতে হবে।"

ইমামোলু তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রেচেপ তাইয়িপ এরদোয়ানের কঠোর বিরোধী। ইস্তাম্বুলে মেয়র হিসেবে তার নেতৃত্ব ছিল এরদোয়ানের বিরুদ্ধে, এবং তার এই রাজনৈতিক অবস্থানই তাকে শাসক দলের টার্গেটে পরিণত করেছে বলে মনে করা হচ্ছে।

ফ্রান্সও ইমামোলুর গ্রেপ্তারের নিন্দা করেছে। ফরাসি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, "ইমামোলু এবং তার সহকারীদের গ্রেপ্তার গণতন্ত্রের ওপর আঘাত।" তারা আরও জানিয়েছে, "তুরস্কের জন্য বিরোধী রাজনীতি গণতন্ত্রের মূল ভিত্তি, এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদস্য হিসেবে ফ্রান্স তুরস্কের সঙ্গে সম্পর্ক বজায় রাখার পক্ষে।"

ইমামোলুর সমর্থকেরা দেশের বিভিন্ন স্থানে প্রতীকী ভোটের আয়োজন করে, যেখানে দেড় কোটি মানুষ অংশ নেয়। ফলাফল জানিয়ে তিনি জেল থেকে লিখেছেন, "এখনই সময় এরদোয়ানকে বার্তা দেওয়ার, আর না।" 2019 সালে প্রথমবার ইমামোলু ইস্তাম্বুলের মেয়র নির্বাচিত হন এবং গত বছর পুনরায় নির্বাচিত হন।

news