বাংলাদেশের শরণার্থী ক্যাম্পে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গারা মিয়ানমারে ফিরে যেতে প্রস্তুতি নিচ্ছে, এবং এজন্য তারা গোপনে সশস্ত্র প্রশিক্ষণ নিচ্ছে। এসব প্রশিক্ষণ মিয়ানমারের অভ্যন্তরে, যেখানে রোহিঙ্গারা জান্তা বাহিনী এবং অন্যান্য বিদ্রোহী গোষ্ঠীকে প্রতিহত করার লক্ষ্যে অস্ত্র চালনায় প্রশিক্ষিত হচ্ছে। রোহিঙ্গাদের মধ্যে বেশ কিছু যুবক তাদের মাতৃভূমি পুনরুদ্ধার করতে মরিয়া হয়ে উঠেছে এবং তারা যুদ্ধের প্রস্তুতি নিচ্ছে।
মোহাম্মদ আয়াস নামে একজন ২৫ বছর বয়সী রোহিঙ্গা যুবক জানাচ্ছেন, তারা দীর্ঘদিন ধরে প্রশিক্ষণ নিচ্ছে এবং বিশেষ করে ২০২১ সালের গৃহযুদ্ধের পর তাদের প্রস্তুতি আরও ত্বরান্বিত হয়েছে। তারা মিয়ানমারের ভেতরে গোপনে অস্ত্র চালনা শেখছেন, এবং গরম তাপে দিনরাত এসব প্রশিক্ষণ চলছে। এই প্রশিক্ষণে অংশ নেয়া যুবকদের মধ্যে কেউ কেউ অস্ত্র চালনার পাশাপাশি মার্শাল আর্টও শিখছে।
রোহিঙ্গারা তাদের মাতৃভূমি ফেরত যেতে মরিয়া হয়ে উঠেছে। তারা জানাচ্ছে, শান্তিপূর্ণভাবে ফিরে যাওয়ার পরিবর্তে, এখন তারা যুদ্ধের পথে হাঁটতে প্রস্তুত। এই প্রশিক্ষণ এবং গোপন কর্মকাণ্ডের মধ্যে তারা নিজেরাই বিভক্ত, এবং তাদের উদ্দেশ্য হলো মিয়ানমারে বসবাসরত রোহিঙ্গাদের অধিকার ফিরিয়ে আনা এবং স্বাধীনতা অর্জন করা।
ইনডিপেনডেন্টের প্রতিবেদনে জানা গেছে, এই প্রশিক্ষণে হাজার হাজার রোহিঙ্গা যুবক অংশগ্রহণ করছে, এবং তারা সশস্ত্র গোষ্ঠী হিসেবে গড়ে উঠছে। রোহিঙ্গারা বলছেন, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কোনো সাহায্য না পাওয়া এবং তাদের প্রতি অবহেলার কারণে তারা নিজেদের অধিকার ফেরত নিতে অস্ত্র ধরতে প্রস্তুত।


