ইউক্রেনে শান্তিচুক্তি বাস্তবায়ন হলে, ফ্রান্স ও যুক্তরাজ্য সেখানে শান্তিবাহিনী পাঠানোর পরিকল্পনা করেছে। প্যারিসে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকে ফরাসি প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল মাক্রোঁ জানিয়েছেন, ইউরোপের বেশ কিছু দেশ শিগগিরই শান্তিরক্ষা বাহিনী পাঠানোর বিষয়ে বিস্তারিত পরিকল্পনা ঘোষণা করবে। তবে, ফ্রান্স ও ব্রিটেনের এই পদক্ষেপের পেছনে রয়েছে ইউরোপের নিজস্ব নিরাপত্তার স্বার্থ।

বৈঠকে ফ্রান্সের পাশাপাশি ব্রিটিশ নেতারা জানায়, শান্তিরক্ষা বাহিনী রাশিয়ার প্রতিরোধে ইউক্রেনের সহায়তায় কার্যকর ভূমিকা পালন করবে। যদিও পুরোপুরি পরিকল্পনা এখনও স্পষ্ট নয়, কিন্তু ফ্রান্স ও যুক্তরাজ্য শান্তি বাহিনীতে সেনা পাঠানোর বিষয়ে দৃঢ় সংকল্পবদ্ধ। তারা বিশ্বাস করে, ইউক্রেনের স্থায়ী শান্তি প্রতিষ্ঠায় এটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে।

এমনকি, এই বাহিনী কেবলমাত্র আক্রমণাত্মক অভিযান চালাবে না, বরং শান্তিরক্ষা কার্যক্রমের অংশ হিসেবে তারা যুদ্ধক্ষেত্রে নয়, ইউক্রেনের নিরাপত্তা রক্ষায় সহায়তা করবে। তবে, কিছু দেশ যেমন জার্মানি এবং স্পেন শান্তিবাহিনীতে অংশ নিতে চায় না, কারণ তাদের রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক অবস্থান ভিন্ন।

আন্তর্জাতিক অঙ্গনে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট পুতিন শান্তি বাহিনী পাঠানোর বিরুদ্ধে তার আপত্তি জানিয়ে এসেছেন। তবুও, ইউরোপীয় নেতারা এই বাহিনীকে শুধু ইউক্রেনের নিরাপত্তা নয়, নিজেদের সুরক্ষাও নিশ্চিত করতে প্রয়োজনীয় মনে করছেন।

 

news