বিশ্ববাজারে কফি, কোকো ও চিনির দাম আকস্মিকভাবে ধসে পড়েছে। ডোনাল্ড ট্রাম্পের নতুন বাণিজ্য শুল্ক নীতির প্রভাবে বিনিয়োগকারীরা মন্দার আতঙ্কে পণ্যবাজারে ধরে রাখছে না শেয়ার। গত সপ্তাহে চালু হওয়া এই শুল্ক নীতিতে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এশিয়ার দেশগুলো - চীনের পণ্যে এখন ৫০% এর বেশি শুল্ক আর বিশ্বের শীর্ষ রোবাস্টা কফি উৎপাদনকারী ভিয়েতনামের পণ্যে ৪৬% শুল্ক বসানো হয়েছে।

আন্তর্জাতিক পণ্য বাজারে রোবাস্টা কফির দাম ৬.৯% কমে মেট্রিক টন প্রতি ৪,৭৭২ ডলারে নেমে এসেছে। অ্যারাবিকা কফির দামও ৬% কমে পাউন্ড প্রতি ৩.৪৪ ডলারে (কেজি প্রতি ১.৫৬ ডলার) পৌঁছেছে। বাজার বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বৈশ্বিক মন্দার আশঙ্কাই এই পতনের প্রধান কারণ।

চিনি ও কোকো বাজারের অবস্থাও শোচনীয়। লন্ডন বাজারে কোকোর দাম ৬% কমে টন প্রতি ৫,৯৯৭ পাউন্ডে নেমে এসেছে - যা গত পাঁচ মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন। নিউইয়র্ক বাজারে কোকোর দাম ৫.৫% কমে টন প্রতি ৮,০৪৬ ডলারে পৌঁছেছে।

বিশ্লেষকরা সতর্ক করে বলেছেন, বিশ্বের শীর্ষ কোকো উৎপাদনকারী আইভরি কোস্টের আসন্ন মিড-ক্রপ পরিস্থিতি আরও বাজারে অস্থিরতা তৈরি করতে পারে। যুক্তরাষ্ট্র বিশ্বের বৃহত্তম চকলেট ও কফি ভোক্তা হওয়ায়, তাদের ভোগ কমলে বিশ্ববাজারে এর প্রভাব পড়বে অনিবার্য।

ট্রাম্পের এই শুল্ক নীতির বিরুদ্ধে এখন পর্যন্ত কোনো নরম সুর শোনা যায়নি। বরং তিনি আরও কঠোর হওয়ার ইঙ্গিত দিয়েছেন। বাণিজ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই ট্যারিফ যুদ্ধ যদি দীর্ঘস্থায়ী হয়, তাহলে বৈশ্বিক পণ্যবাজার আরও বেশি মন্দার মুখোমুখি হতে পারে। আগামী কয়েক সপ্তাহে বাজারের গতিপথই বলে দেবে - এই ধস সাময়িক নাকি দীর্ঘমেয়াদি সংকটের ইঙ্গিত! খবর আলজাজিরার

news