জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিগেরু ইশিবা স্পষ্ট ভাষায় জানিয়েছেন, তিনি যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সাথে টেলিফোনে আলোচনা করেছেন এবং মার্কিন শুল্ক নীতিকে "অত্যন্ত হতাশাজনক" বলে উল্লেখ করে তা পুনর্বিবেচনার অনুরোধ করেছেন। এই আলোচনায় জাপানের প্রধানমন্ত্রী ট্রাম্পকে সতর্ক করে বলেন, জাপান টানা পাঁচ বছর ধরে যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে বিনিয়োগকারী দেশ, এবং এই শুল্ক নীতি জাপানি কোম্পানিগুলোর বিনিয়োগ সক্ষমতা ব্যাহত করতে পারে।

ইশিবা সাংবাদিকদের বলেন, তিনি ট্রাম্পের সাথে এই ইস্যুতে গঠনমূলক আলোচনা চালিয়ে যেতে সম্মত হয়েছেন। তিনি বলেন, "প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প আন্তর্জাতিক অর্থনীতিতে যুক্তরাষ্ট্রের বর্তমান অবস্থান সম্পর্কে তার সৎ মতামত ব্যক্ত করেছেন। আজকের আলোচনার ভিত্তিতে উভয় পক্ষই মন্ত্রী পর্যায়ের কর্মকর্তাদের দায়িত্ব দিয়ে এই বিষয়ে আরও আলোচনা চালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।"

এই আলোচনা চলাকালে ওয়াল স্ট্রিটে উত্তেজনা দেখা দিয়েছে। সিএনবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছিল, ট্রাম্প ৯০ দিনের জন্য শুল্ক স্থগিত করার কথা ভাবছেন। কিন্তু শীঘ্রই হোয়াইট হাউস এই খবরকে "ফেইক নিউজ" বলে আখ্যা দিয়ে প্রত্যাখ্যান করে। এরপরই ওয়াল স্ট্রিটের প্রধান সূচকগুলো লাল হয়ে যায়, যদিও সিএনবিসির আগের রিপোর্টে সাময়িকভাবে শেয়ার বাজারে উত্থান দেখা গিয়েছিল।

এই ঘটনায় বিনিয়োগকারী ও অর্থনৈতিক বিশ্লেষকদের মধ্যে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে। জাপান ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে বাণিজ্য সম্পর্ক কেমন হবে, তা নিয়ে এখনও অনিশ্চয়তা রয়ে গেছে। তবে ইশিবার এই সরব অবস্থান আন্তর্জাতিক পর্যায়ে জাপানের দৃঢ়তাকে তুলে ধরেছে।

এই সংকটের সমাধান কীভাবে হবে, তা এখনও স্পষ্ট নয়। তবে জাপানের প্রধানমন্ত্রী ও ট্রাম্পের মধ্যে আলোচনা অব্যাহত থাকায় আশা করা যাচ্ছে, উভয় পক্ষই একটি সমঝোতায় পৌঁছাতে সক্ষম হবে। আমরা এই বিষয়ে নতুন তথ্য পাওয়া মাত্রই আপনাদের জানাবো।

এই মুহূর্তে বিশ্ব অর্থনীতি একটি স্পর্শকাতর পর্যায়ে রয়েছে, এবং যুক্তরাষ্ট্র ও জাপানের মতো প্রধান অর্থনৈতিক শক্তিগুলোর মধ্যে বাণিজ্য নীতির পরিবর্তন গোটা বিশ্বের জন্য গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব ফেলতে পারে। তাই এই আলোচনার প্রতিটি অগ্রগতি সবার জন্য গুরুত্বপূর্ণ।

news