ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু আজ ওয়াশিংটনে ট্রাম্পের সাথে বৈঠক করতে যাচ্ছেন! বিশ্বজুড়ে ট্যারিফ ঘোষণার পর এই প্রথম কোনো বিদেশি নেতা হোয়াইট হাউসে সাক্ষাৎ করতে আসছেন। মজার ব্যাপার হলো, ইসরায়েলের উপরও ট্রাম্প ১৭% ট্যারিফ বসিয়েছেন—যেখানে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ইসরায়েলের সবচেয়ে বড় মিত্র, বছরে বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার সহায়তা দেয়!
কেন এই হঠাৎ বৈঠক?
নেতানিয়াহুর অফিস জানিয়েছে, ট্যারিফ ইস্যুই এই বৈঠকের মূল ফোকাস। তবে আলোচনায় থাকবে:
-
গাজা যুদ্ধ ও আইসিসির (ICC) জারি করা নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা
-
ইরানের সাথে উত্তেজনা
-
তুরস্ক-ইসরায়েল সম্পর্ক
গত সপ্তাহে ইসরায়েল যেন "প্রতিশোধ" নিয়েই মার্কিন পণ্যের উপর সব ট্যারিফ তুলে দিয়েছে—বিশেষত খাদ্য ও কৃষিপণ্যে!
হংকংয়ের ট্যারিফ জবাব: এসএমইদের জন্য রেসকিউ প্যাকেজ
গত সপ্তাহে ট্রাম্পের ট্যারিফ ঘোষণায় হংকং স্টক এক্সচেঞ্জ ১৯৯৭ সালের পর সবচেয়ে বড় ধস দেখেছে! এখন হংকং সরকার ছোট-মাঝারি ব্যবসা (SME) বাঁচাতে বিশেষ সহায়তা প্যাকেজ আনছে।
হংকংয়ের অর্থসচিব পল চ্যান বলেছেন, "ট্যারিফের প্রভাব থেকে মুক্ত থাকা যাবে না, কিন্তু আমাদের 'ফ্রি পোর্ট' স্ট্যাটাসই প্রধান শক্তি!" সরকার যা করবে:
-
রপ্তানি বীমা বাড়ানো
-
ব্যাংকগুলোর সাথে সমন্বয় করে এসএমইদের লিকুইডিটি সহায়তা
-
নতুন বাজার (দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া, মধ্যপ্রাচ্য) অনুসন্ধানে উৎসাহ
-
ডিজিটাল ট্রান্সফরমেশন ত্বরান্বিত করা
চ্যান ট্যারিফকে "বুলি করা ও অন্যায্য" বলে আখ্যা দিয়ে বলেছেন, "এটি WTO নীতির লঙ্ঘন এবং বিশ্ব অর্থনীতির পুনরুদ্ধারে বাধা!"
মূল প্রশ্ন: ট্যারিফ যুদ্ধের পরবর্তী টার্গেট কে?
ট্রাম্পের ট্যারিফ পলিসি এখন ইসরায়েল-হংকং পর্যন্ত ছড়িয়েছে। কিন্তু বিশ্লেষকরা বলছেন, চীন ও ইউরোপিয়ান ইউনিয়নই আসল লক্ষ্য। নেতানিয়াহুর এই সফর কি ইসরায়েলকে ট্যারিফ থেকে রক্ষা করবে? নাকি গাজা যুদ্ধ নিয়ে সমালোচনার ঝড় থামানোর কৌশল?
#ট্রাম্প #নেতানিয়াহু #ট্যারিফ_যুদ্ধ #হংকং #আন্তর্জাতিক_রাজনীতি


