বিশ্বজুড়ে উত্তেজনা ছড়িয়েছে—ইরান ও যুক্তরাষ্ট্র আবারও আলোচনার টেবিলে বসেছে! ওমানের মাটিতে ফের শুরু হচ্ছে পারমাণবিক চুক্তি পুনরুজ্জীবনের গোপন কূটনৈতিক আলোচনা। ২০১৫ সালের ঐতিহাসিক যুক্তরাষ্ট্র-ইরান পরমাণু চুক্তি ভেঙে দেওয়ার পর এবার আবারও নতুন আশায় জেগেছে বিশ্ব। কিন্তু কতটা সফল হবে এই আলোচনা? কী বলছে দুই পক্ষ?

২০১৫ সালে অস্ট্রিয়ার রাজধানী ভিয়েনায় বিলাসবহুল একটি হোটেলে বিশ্ব মিডিয়ার ভিড় জমেছিল। তখন ইরান ও ছয় বিশ্বশক্তি (যুক্তরাষ্ট্র, চীন, রাশিয়া, ব্রিটেন, ফ্রান্স ও জার্মানি) ইউরোপীয় ইউনিয়নের সহায়তায় জটিল পারমাণবিক চুক্তিতে স্বাক্ষর করেছিল। কিন্তু সেই চুক্তির গোড়াপত্তন হয়েছিল তারও দুই বছর আগে, ওমানে গোপনে হওয়া আলোচনায়। আর আজ, সেই ওমানেই ফের মুখোমুখি হচ্ছে ইরান ও যুক্তরাষ্ট্র!

২০১৮ সালে তৎকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এই চুক্তি থেকে সরে দাঁড়ান। এখন আবারও নতুন করে চুক্তি করার চেষ্টা চলছে। ট্রাম্প দাবি করেছেন, এবারের আলোচনা সরাসরি হবে। কিন্তু ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাঘচি এই দাবি সরাসরি否定 করে বলেছেন, "আমাদের সরাসরি আলোচনার কোনো পরিকল্পনা নেই।" ইরানের পক্ষ থেকে আলোচনায় অংশ নেবেন আরাঘচিই, যিনি ইরানের পারমাণবিক বিষয়ে অভিজ্ঞ এবং ১২ বছর আগে ওমানের মাস্কাটে গোপন আলোচনায়ও উপস্থিত ছিলেন।

অন্যদিকে, যুক্তরাষ্ট্রের দলনেতা স্টিভ উইটকফ—একজন রিয়েল এস্টেট ডেভেলপার এবং ট্রাম্পের ঘনিষ্ঠ বন্ধু। গাজা যুদ্ধবিরতি আলোচনা থেকে ইউক্রেন-রাশিয়া সংকট, এখন ইরানের পারমাণবিক ইস্যু—এসবই তার হাতে! কিন্তু এই জটিল আলোচনায় তিনি কতটা সফল হবেন?

বিশ্লেষকরা বলছেন, এই প্রথম বৈঠক থেকে বেশি কিছু আশা করা ঠিক হবে না। মূল লক্ষ্য হলো—আলোচনা যেন ভেস্তে না যায় এবং একটি প্রক্রিয়া শুরু হয়। বিশ্ব শান্তি ও নিরাপত্তার জন্য এই চুক্তি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ইরান যদি পারমাণবিক অস্ত্র পরিত্যাগ করে এবং যুক্তরাষ্ট্র যদি অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা শিথিল করে, তাহলে মধ্য প্রাচ্যে নতুন এক সম্ভাবনার দরজা খুলতে পারে।

কিন্তু প্রশ্ন হলো—আসলেই কি দুই পক্ষের মধ্যে আস্থা ফিরবে? নাকি আবারও ব্যর্থতায় শেষ হবে এই আলোচনা? সারা বিশ্ব এখন ওমানের দিকে তাকিয়ে!

#ইরান #যুক্তরাষ্ট্র #পারমাণবিকচুক্তি #ওমান #বিশ্বশান্তি

news