গাজায় ইসরায়েলি হামলায় নারী ও শিশুদের মৃত্যুর পেছনে কি ইচ্ছাকৃত পরিকল্পনা কাজ করছে? ফিলিস্তিনি মানবাধিকার সংগঠন আল-হকের দাবি, জাতিসংঘের মানবাধিকার হাইকমিশনারের অফিসের সাম্প্রতিক রিপোর্টে এর স্পষ্ট প্রমাণ মিলেছে। রিপোর্টে বলা হয়েছে, গাজায় ইসরায়েলের ৩৬টি হামলায় শুধু নারী ও শিশুরাই নিহত হয়েছে।

আল-হক বলছে, "ইসরায়েল ইচ্ছাকৃতভাবে গাজার নারী ও শিশুদের টার্গেট করছে।" সংগঠনটি জানিয়েছে, জাতিসংঘের একটি আন্তর্জাতিক তদন্ত কমিশনও একই সিদ্ধান্তে পৌঁছেছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এক পোস্টে আল-হক লিখেছে, "নারী, কিশোর, কিশোরী এমনকি নবজাতকদের বিরুদ্ধে এতটা পরিকল্পিতভাবে নির্মূলের চেষ্টা আধুনিক যুগের অন্য কোনো যুদ্ধে দেখা যায়নি।"

গাজাবাসী শুধু বোমা-মিসাইলেই নিহত হচ্ছে না, বরং মানবিক সহায়তা বন্ধ করে তাদের ধীরে ধীরে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দেওয়া হচ্ছে। আল-হকের বক্তব্য, "ভারী অস্ত্রের লক্ষ্যবস্তু হওয়ার পাশাপাশি গাজাবাসীকে দুই মাস ধরে মানবিক সহায়তা সম্পূর্ণ বন্ধের মতো পরিস্থিতিও মোকাবিলা করতে হচ্ছে।"

এই রিপোর্ট ফিলিস্তিনি জনগণের ওপর ইসরায়েলের নৃশংসতার আরেকটি প্রমাণ হিসেবে দেখা হচ্ছে। বিশ্বজুড়ে ইতিমধ্যেই ইসরায়েলের বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধের অভিযোগ তীব্র হয়েছে। এখন প্রশ্ন হলো, জাতিসংঘ ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় কি এই নিষ্ঠুরতা বন্ধে কার্যকর কোনো পদক্ষেপ নেবে? নাকি ফিলিস্তিনিরা আরও বেশি রক্ত ঝরাবে?

গাজার পরিস্থিতি দিন দিন ভয়াবহ হচ্ছে, আর বিশ্ব নেতাদের নিষ্ক্রিয়তা প্রশ্নের মুখে ফেলেছে সাধারণ মানুষকে। এই নীরবতা কি মানবতার জন্য কলঙ্ক হয়ে থাকবে?

#গাজা #ফিলিস্তিন #ইসরায়েল #যুদ্ধাপরাধ #মানবাধিকার

news