একটি বড় প্রশ্নের মুখোমুখি পুরো বিশ্ব! ইরান ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে আজ ওমানে শুরু হতে যাচ্ছে উচ্চমাত্রার কূটনৈতিক আলোচনা। ওয়াশিংটন ও ইসরায়েলের যৌথ চাপে তেহরানের দ্রুত অগ্রসরমান পারমাণবিক কর্মসূচি থামাতেই এই বৈঠক। কিন্তু আলোচনার টেবিলে বসলেও ইরানের মনে গভীর সন্দেহ—যুক্তরাষ্ট্রের আসল উদ্দেশ্য কী?

ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাঘচি ইরানি প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেবেন। অন্যদিকে, ট্রাম্প প্রশাসনের মধ্যপ্রাচ্য দূত স্টিভ উইটকফ থাকবেন মার্কিন দলের প্রধান। গত কয়েক মাসে যুক্তরাষ্ট্র বারবার হুমকি দিয়েছে, চুক্তি না হলে সামরিক পদক্ষেপ নেওয়া হতে পারে। ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুও সরাসরি ইরানের পারমাণবিক স্থাপনা ধ্বংসের আহ্বান জানিয়েছেন।

এই আলোচনা কি আসলেই শান্তি আনবে? নাকি উত্তপ্ত মধ্যপ্রাচ্যে নতুন সংঘাতের দোরগোড়ায় দাঁড়িয়ে আমরা? গত কয়েক সপ্তাহে গাজায় ইসরায়েলের যুদ্ধ তীব্র হয়েছে, লেবানন ও সিরিয়ায় হামলা চলছে, ইয়েমেনে হুথি লক্ষ্য করে মার্কিন হামলা অব্যাহত। এর মধ্যেই পারমাণবিক ইস্যুতে আলোচনা কতটা সফল হবে?

বিশ্লেষকরা বলছেন, ইরান চুক্তি চাইলেও যুক্তরাষ্ট্রের দাবিগুলো মেনে নেওয়া তাদের জন্য কঠিন। অন্যদিকে, ট্রাম্প প্রশাসন ইরানের ওপর সর্বোচ্চ চাপ কৌশল অব্যাহত রাখতে চায়। এই দুই পক্ষের মধ্যে সমঝোতা কি আদৌ সম্ভব?

এই মুহূর্তে পুরো মধ্যপ্রাচ্য যেন বারুদে ভরা। সামান্য একটি искры-ই region-কে অগ্নিগর্ভ করে তুলতে পারে। ওমানের আলোচনা কি এই উত্তেজনা কমাবে? নাকি নতুন সংঘাতের দিকে ঠেলে দেবে বিশ্বকে?

#ইরান #যুক্তরাষ্ট্র #পারমাণবিক_আলোচনা #মধ্যপ্রাচ্য_সংকট #ওমান

news