জাতিসংঘের সাম্প্রতিক প্রতিবেদনে ভয়াবহ এক চিত্র উঠে এসেছে—গত দুই সপ্তাহে ইসরায়েলি সেনা ও অবৈধ বসতি স্থাপনকারীদের হাতে ফিলিস্তিনি হত্যা ও নির্যাতনের মাত্রা আরও বেড়েছে। ২৫ মার্চ থেকে ৭ এপ্রিলের মধ্যে ইসরায়েলি বাহিনী পশ্চিম তীরে ৯ ফিলিস্তিনিকে হত্যা করেছে, যার মধ্যে দুইজন শিশু! আরও ১৩০ জন আহত হয়েছেন, যাদের মধ্যে ৩৪ জনই নিষ্পাপ শিশু।
এরই মধ্যে ৮ এপ্রিল ইসরায়েলি সেনাদের গুলিতে আরেক ফিলিস্তিনি নারী নিহত হয়েছেন। ইসরায়েলি বাহিনীর দাবি, তিনি পাথর ছুড়েছিলেন। কিন্তু কতটা প্রমাণিত? নাকি শুধুই ফিলিস্তিনিদের দমনের অজুহাত?
ইসরায়েলি সেনাদের পাশাপাশি অবৈধ বসতি স্থাপনকারীরাও ফিলিস্তিনিদের ওপর হামলা চালিয়েছে ৪৪ বার! এই হামলায় ২৫ জন আহত হয়েছেন, যাদের মধ্যে ৫ শিশুও রয়েছে। এছাড়া ৩৫টি ফিলিস্তিনি সম্প্রদায়ের বাড়িঘর ও সম্পত্তি ধ্বংস করা হয়েছে।
ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ একই সময়ে পশ্চিম তীর ও পূর্ব জেরুজালেমে ফিলিস্তিনিদের ১০৫টি স্থাপনা গুঁড়িয়ে দিয়েছে। এর ফলে ১২২ জন গৃহহারা হয়েছেন—৬৪ শিশুসহ! শুধু ঘরবাড়িই নয়, জীবিকা নির্বাহের দোকান, স্যানিটেশন সুবিধা ধ্বংস করে ২০০ এরও বেশি ফিলিস্তিনিকে চরম দুর্ভোগে ফেলা হয়েছে।
এই নির্মমতা কি কোনোভাবেই থামবে? নাকি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় শুধু প্রতিবেদন প্রকাশ করেই দায়িত্ব শেষ করবে? ফিলিস্তিনিদের রক্ত ঝরানো কি কোনোদিনই বন্ধ হবে না?
#ফিলিস্তিন #ইসরায়েলি_অত্যাচার #জাতিসংঘ #পশ্চিম_তীর #মানবাধিকার


