সংযুক্ত আরব আমিরাত সরকার সম্প্রতি বিদ্যালয়ভিত্তিক শৃঙ্খলা ও নীতিমালা আরও কঠোর করেছে। এর এক প্রতিবেদনে জানানো হয়, নতুন নির্দেশনায় মোবাইল ফোন, চুলের কাটিং, ইউনিফর্ম ও অভিভাবকদের পোশাকসহ একাধিক বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
বিদ্যালয় চত্বরে মোবাইল ফোন, আইপ্যাড বা অননুমোদিত কোনো ইলেকট্রনিক ডিভাইস ব্যবহার সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এসব পাওয়া গেলে সেগুলো বাজেয়াপ্ত করে নিয়ম অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তবে চার্জ দেওয়া ল্যাপটপ ব্যবহার করা যাবে, তা মন্ত্রণালয় কর্তৃক সরবরাহকৃত হোক বা ব্যক্তিগত।
শিক্ষার্থীদের বিদ্যালয়ে সশরীরে উপস্থিতি বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। তিনটি ক্লাস অনুপস্থিত থাকলে তা এক দিনের অনুপস্থিতি হিসেবে বিবেচিত হবে এবং আচরণগত রেকর্ডে প্রভাব ফেলবে।
অভিভাবকদের জন্যও শালীন পোশাক পরিধান, বৈধ পরিচয়পত্র দেখানো এবং রিসেপশনে নিবন্ধন বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।
চুলের স্টাইল নিয়ে কঠোরতা আরোপ করা হয়েছে। অপ্রচলিত বা চোখে পড়ার মতো হেয়ারস্টাইল নিষিদ্ধ, এবং পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখতে উপযুক্ত চুল কাটা বাধ্যতামূলক।
শুধুমাত্র নির্ধারিত জাতীয় ইউনিফর্মই পরিধান করা যাবে, এবং শারীরিক শিক্ষার সময় নির্দিষ্ট স্পোর্টস ইউনিফর্ম ব্যবহার করতে হবে। হুডি বা অনুমোদিত নয় এমন কোনো পোশাক পরা নিষিদ্ধ।
বিদ্যালয়ের সময়সূচি সোমবার থেকে বৃহস্পতিবার সকাল ৭টা থেকে দুপুর ২টা ১০ মিনিট এবং শুক্রবার সকাল ১০টা ৩০ মিনিট পর্যন্ত নির্ধারণ করা হয়েছে। পরিবহন ব্যবস্থাপনা ও বিদ্যালয়ে প্রবেশ-বাহিরেও সুশৃঙ্খলতা বজায় রাখতে পৃথক ফটকের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
এছাড়া জোহরের নামাজের জন্য দ্বিতীয় বিরতির সময় নামাজের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। চ্যাটজিপিটির মতো এআই চ্যাটবট ব্যবহারে কিছু বিদ্যালয়ে নিষেধাজ্ঞাও জারি করা হয়েছে।


