ভারতের আগ্রাসী সামরিক নীতির চরম বহিঃপ্রকাশ দেখা গেলো গতরাতে, যখন ভারতের সামরিক বাহিনী পাকিস্তানের ছয়টি এলাকায় বর্বর ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায়। এতে নিহত হয়েছেন অন্তত ৮ জন, আহত হয়েছেন ৩৫ জনের বেশি। নিহতদের মধ্যে রয়েছে শিশুও।

এই মর্মান্তিক ঘটনার বিস্তারিত তুলে ধরেছেন পাকিস্তান সশস্ত্র বাহিনীর জনসংযোগ পরিদপ্তর—আইএসপিআর-এর মহাপরিচালক লেফটেন্যান্ট জেনারেল আহমেদ শরীফ চৌধুরী। গভীর রাতে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ তথ্য জানান।

আইএসপিআর মহাপরিচালক জানান, ভারতের সামরিক বাহিনী মোট ২৪টি ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে। সবচেয়ে বড় আঘাত হানা হয়েছে পাঞ্জাব প্রদেশের বাহাওয়ালপুরের কাছে আহমেদপুর শরকিয়ায়। সেখানে একটি মসজিদ চত্বরে হামলায় নিহত হন ৫ জন, যার মধ্যে রয়েছে মাত্র তিন বছর বয়সী এক শিশু কন্যা।

আরও হামলা হয় পাঞ্জাব প্রদেশের মুরিদকে শহর, সিয়ালকোটের নিকটবর্তী একটি গ্রাম ও শাকারগড় এলাকায়। এসব হামলায় আহত হয়েছেন বহু নিরীহ মানুষ, যাদের অনেকেই এখনো মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন।

সবচেয়ে ভয়াবহ চিত্র দেখা গেছে পাকিস্তান শাসিত কাশ্মীরের মুজাফফরাবাদ ও কোটলি এলাকায়। সেখানে দুটি মসজিদ সম্পূর্ণ ধ্বংস হয়ে গেছে। এই হামলায় ১৬ বছর বয়সী এক কিশোরী ও ১৮ বছর বয়সী এক তরুণ প্রাণ হারিয়েছে।

বিশ্লেষকরা বলছেন, এই হামলা কোনো সামরিক স্থাপনায় হয়নি—ভারত টার্গেট করেছে বেসামরিক মানুষ ও ধর্মীয় উপাসনালয়। এটিকে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইনের লঙ্ঘন হিসেবে বিবেচনা করছেন অনেকেই।

পাকিস্তান এই হামলাকে সম্পূর্ণ অগ্রহণযোগ্য এবং ন্যক্কারজনক বলে অভিহিত করেছে। ইসলামাবাদ থেকে জানানো হয়েছে—দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় পাকিস্তান সব ধরনের উপযুক্ত প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা গ্রহণ করবে, কিন্তু বরাবরের মতো শান্তিপূর্ণ পথেই অগ্রসর হতে চায়।

ভারতের এই হামলা প্রমাণ করে, তারা উসকানি দিয়ে একটি বড় আঞ্চলিক সংঘাতের দিকে ধাবিত হতে চায়। অথচ পাকিস্তান এই অঞ্চলে শান্তি ও স্থিতিশীলতার পক্ষেই দাঁড়িয়ে আছে।

পাকিস্তানের পক্ষ থেকে এখনো কোনো ভারতীয় যুদ্ধবিমান ভূপাতিত হওয়ার তথ্য নিশ্চিত করা হয়নি, তবে প্রতিরক্ষা বাহিনী উচ্চ সতর্কতায় রয়েছে।

এখন প্রশ্ন—এই আক্রমণ কি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে জাগাবে? আর কত মানুষ প্রাণ হারালে বিশ্ব বিবেক নড়বে?

news