ইরাকি পার্লামেন্টে মার্কিন সেনা প্রত্যাহারের প্রস্তাব গৃহীত হলেও এখনো সে দেশে অবস্থান করছে মার্কিন বাহিনী। তাদের এই উপস্থিতি নিয়ে ক্রমশ বাড়ছে রাজনৈতিক উত্তেজনা ও জনঅসন্তোষ।
ইরাকের ইসলামি প্রতিরোধ সংগঠন নুজাবা সম্প্রতি জানিয়েছে, ইরাক ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে নতুন সামরিক ও কারিগরি আলোচনা শুরু হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এই আলোচনার লক্ষ্য, মার্কিন সেনা উপস্থিতি ও প্রত্যাহার বিষয়ে একটি নতুন কাঠামো তৈরি করা।
যদিও যুক্তরাষ্ট্র যুদ্ধ মিশন সমাপ্তির ঘোষণা দিয়েছে, তবুও তারা আইন আল-আসাদ ও আল-হারির মতো গুরুত্বপূর্ণ ঘাঁটিতে এখনও সক্রিয়। এই ঘাঁটিগুলোর উপস্থিতি কেবল নিরাপত্তাজনিত নয়; বরং ইরান, সিরিয়া ও তুরস্কের মতো প্রতিবেশী দেশগুলোর ওপর কৌশলগত নজরদারির অংশ হিসেবেই দেখা হচ্ছে।
মার্কিন সেনার এই দীর্ঘমেয়াদী অবস্থান ইরাকের সার্বভৌমত্বে হস্তক্ষেপ এবং সংসদীয় সিদ্ধান্তের লঙ্ঘন বলে মনে করে দেশটির প্রতিরোধ সংগঠনগুলো। পাশাপাশি অভ্যন্তরীণ অস্থিরতা ও সীমান্ত অস্থিতিশীলতা এ অবস্থানের পরিণতি হিসেবেই চিহ্নিত হচ্ছে।
ইরাকি সরকার মার্কিন সেনা বহিষ্কারে কার্যকর পদক্ষেপ না নেওয়ায় সমালোচনার মুখে পড়েছে। এর পেছনে মূল কারণ—মার্কিন আর্থিক চ্যানেলের ওপর ইরাকের নির্ভরতা। মার্কিন ফেডারেল রিজার্ভের মাধ্যমে ডলার সরবরাহ বন্ধ হয়ে গেলে ইরাকি অর্থনীতি বিপর্যস্ত হতে পারে—এ আশঙ্কাই সরকারকে পিছু হটতে বাধ্য করছে।
অন্যদিকে, যুক্তরাষ্ট্র বারবার ইরাকি সেনাবাহিনীকে আধুনিকায়নের পথে বাধা সৃষ্টি করছে, বিশেষ করে বিমান প্রতিরক্ষা ও ড্রোন প্রযুক্তির ক্ষেত্রে। বিশ্লেষকদের মতে, ওয়াশিংটনের লক্ষ্য ইরাককে একটি নিয়ন্ত্রণযোগ্য ও নির্ভরশীল রাষ্ট্রে পরিণত করা।


