ইসরায়েল ও তার যুদ্ধ-সমর্থকদের উদ্দেশ্যে শক্তির স্পষ্ট বার্তা দিয়েছে ইরানের বিপ্লবী গার্ড বাহিনী (আইআরজিসি)। বুধবার ভোরে ‘অপারেশন ট্রু প্রমিজ থ্রি’র একাদশ ধাপে তারা ব্যবহার করেছে হাইপারসনিক প্রযুক্তির ফাত্তাহ ক্ষেপণাস্ত্র। এই ক্ষেপণাস্ত্র ইসরায়েলের আধুনিক বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে সফলভাবে ভেদ করেছে বলে দাবি করেছে আইআরজিসি।

ফাত্তাহ একটি উন্নত, দ্বি-স্তরের, কঠিন জ্বালানির হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র। এর পাল্লা প্রায় ১,৪০০ কিলোমিটার এবং টার্মিনাল গতি ১৩ থেকে ১৫ ম্যাক। এই অস্ত্র ব্যবহারের মাধ্যমে ইরান শুধু একটি কৌশলগত পদক্ষেপ নেয়নি, বরং দখলদার ইসরায়েল এবং তার পশ্চিমা মিত্রদের সতর্কবার্তা দিয়েছে যে—তাদের প্রতিরক্ষা আর অজেয় নয়।

আইআরজিসি এক বিবৃতিতে জানায়, “ফাত্তাহ ক্ষেপণাস্ত্রের মোতায়েন ইসরায়েলের ‘পৌরাণিক’ ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার অবসান শুরু করেছে। এটি একটি নতুন যুগের সূচনা।” তারা আরও যোগ করে, “গতরাতে কাপুরুষ ইহুদিবাদীদের নিরাপদ আশ্রয়স্থলগুলো বারবার কেঁপে উঠেছে। ফাত্তাহ ক্ষেপণাস্ত্রের এই প্রদর্শন তেল আবিবের মিত্রদের চোখ খুলে দিয়েছে।”

বিশ্লেষকদের মতে, এই হামলা শুধু সামরিক নয়, মনস্তাত্ত্বিক দিক থেকেও তাৎপর্যপূর্ণ। ইরান দেখাতে চায়—তারা শুধু প্রতিরক্ষা নয়, আগ্রাসী প্রযুক্তির দিকেও এগিয়ে আছে। ফাত্তাহ ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে তারা প্রমাণ করতে চাচ্ছে যে, মধ্যপ্রাচ্যের ক্ষমতার ভারসাম্য বদলাতে পারে।

এই অভিযানের মাধ্যমে ইরান একটি পরিষ্কার বার্তা দিল—তাদের সামরিক সক্ষমতা প্রশ্নাতীত, আর বিভ্রান্তি ও অনুমান দিয়ে তাদের মোকাবিলা সম্ভব নয়।

news