আন্তর্জাতিক আণবিক শক্তি সংস্থার (IAEA) মহাপরিচালক রাফায়েল গ্রোসি বলেছেন, ইরানের কাছে পারমাণবিক প্রযুক্তি ও শিল্প সক্ষমতা রয়েছে, এবং এটি এখন এমন এক বাস্তবতা যা কেউ অস্বীকার করতে পারবে না।
বুধবার মেহের নিউজ এজেন্সি জানায়, সাম্প্রতিক মার্কিন-ইসরায়েলি হামলার প্রেক্ষাপটে গ্রোসি সরাসরি ওই আক্রমণের বিষয়ে কোনো প্রতিক্রিয়া না জানালেও, তিনি জানান— ইরানের পারমাণবিক স্থাপনাগুলোতে পরিদর্শন প্রক্রিয়া বন্ধ রাখা সংস্থার জন্য গ্রহণযোগ্য নয়।
গ্রোসি বলেন, “আমরা পরিদর্শকদের ফিরে পাঠানোকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিচ্ছি। শান্তিপূর্ণ পারমাণবিক কার্যক্রমের স্বচ্ছতা বজায় রাখতে এটি জরুরি।” তবে তিনি উল্লেখ করেননি, হামলার ফলে নিরাপত্তা পরিস্থিতি কীভাবে এই প্রক্রিয়াকে প্রভাবিত করছে।
এই মন্তব্য এমন সময় এসেছে, যখন ইরানের সংসদের স্পিকার পরিষদের মুখপাত্র জানান, ইরানের পারমাণবিক অধিকার নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত আইএইএ-র সাথে সহযোগিতা স্থগিত থাকবে। ইরানের পক্ষ থেকে অভিযোগ, পারমাণবিক স্থাপনাগুলোর ওপর মার্কিন ও ইসরায়েলি হামলার সময় আইএইএ নীরব থেকেছে এবং সংস্থাটি তার দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করেনি।
রাশিয়ার ক্রেমলিনও এক বিবৃতিতে জানায়, ইরান-আইএইএ সহযোগিতা স্থগিতের সিদ্ধান্ত একটি যৌক্তিক প্রতিক্রিয়া, যা যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলের অব্যাহত আক্রমণের প্রত্যক্ষ ফলাফল। তারা আরও বলে, এই আগ্রাসনের মাধ্যমে শুধু ইরানের সার্বভৌমত্ব লঙ্ঘিত হয়নি, বরং আন্তর্জাতিক পারমাণবিক সংস্থার নিরপেক্ষতার ভাবমূর্তিও গুরুতরভাবে প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে।
বিশ্লেষকদের মতে, এই পরিস্থিতি না শুধুমাত্র মধ্যপ্রাচ্যের পারমাণবিক উত্তেজনা বাড়াচ্ছে, বরং আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষক সংস্থার ভূমিকার ওপরও বড় প্রশ্ন তুলছে।


