যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যস্থতায় সাময়িক যুদ্ধবিরতিতে থেমেছে ইরান-ইসরায়েলের ভয়াবহ সংঘাত। তবে বিশ্লেষকদের মতে, এই যুদ্ধবিরতি অনেকটাই নড়বড়ে এবং চারটি মূল কারণে আবারও বড় ধরনের সংঘর্ষের সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে।
১. ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি
ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্রের যৌথ হামলায় ইরানের কয়েকটি পারমাণবিক স্থাপনায় বড় ক্ষতি হলেও ডিফেন্স ইন্টেলিজেন্স এজেন্সির (DIA) মতে, ইরানের প্রকল্প পুরোপুরি ধ্বংস হয়নি। আইএইএর আশঙ্কা, ইউরেনিয়াম মজুত বেড়েছে এবং পরিদর্শকদের প্রবেশ সীমিত হয়েছে। ইসরায়েলের দৃষ্টিতে এটি একটি স্থায়ী হুমকি।
২. যুদ্ধবিরতির ভঙ্গুরতা
দুই পক্ষই পরস্পরের বিরুদ্ধে যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘনের অভিযোগ তুলেছে। ইরান দাবি করছে, তাদের ছোড়া ক্ষেপণাস্ত্র যুদ্ধবিরতির আগেই নিক্ষেপ করা হয়েছিল। ইসরায়েল আবার ইরানে পাল্টা হামলা চালিয়েছে, যা ট্রাম্পকেও ক্ষুব্ধ করেছে।
৩. গোপন গোয়েন্দা অভিযান
ইরান জানিয়েছে, তারা মোসাদের সঙ্গে সম্পৃক্ত অভিযোগে ৭০০ জনকে আটক করেছে। এর আগে ইসরায়েলকে দোষী করে ইরানে একাধিক গুপ্তহত্যা, বিস্ফোরণ ও ড্রোন হামলার অভিযোগ তোলা হয়েছে। এই সব অভিযান দুই দেশের সম্পর্ককে আরও উত্তপ্ত করে তুলছে।
৪. কূটনৈতিক ভাষ্য ও নেতাদের হুমকি
নেতানিয়াহু একে ‘ঐতিহাসিক জয়’ বললেও ইরানের প্রেসিডেন্ট পেজেশকিয়ান এটিকে ইহুদিবাদবিরোধী বিজয় হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন। উভয় পক্ষের কণ্ঠে আপসহীনতা এবং কড়া হুঁশিয়ারি পরিস্থিতিকে আরও উত্তপ্ত করে তুলছে।
সব মিলিয়ে, ইরান-ইসরায়েল সংঘাত আপাতত থেমে থাকলেও শান্তি দীর্ঘস্থায়ী হবে এমন আশা কম। বিশ্বশক্তিগুলো যদি কার্যকর চুক্তি বা কূটনৈতিক সমাধান না খোঁজে, তাহলে এই যুদ্ধবিরতি যে কোনো সময় চরম সংঘর্ষে রূপ নিতে পারে।


