তালিবানের হাতে আটক রাষ্ট্রসংঘের তিন মহিলা কর্মী
রাষ্ট্রসংঘের তিন মহিলা কর্মীকে আটকে রেখেছে তালিবান (Taliban)। সোমবারই এই প্রকাশ্যে এসেছে অভিযোগ। সেই সঙ্গে জানানো হয়েছে, আফগান মহিলাদের কাজে আসতে বাধা দিচ্ছে তালিবান। জানা গিয়েছে, জেরা করার অজুহাত দেখিয়ে তালিবান নিরাপত্তাকর্মীরা আটক করেছে ওই তিনজনকে। এর বেশি আর কোনও তথ্য পাওয়া যায়নি বলে দাবি করেছে রাষ্ট্রসংঘ (UN)। তবে সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছে তালিবান।
আফগানিস্তানে (Afghanistan) নিযুক্ত রাষ্ট্রসংঘের বিশেষ মিশনের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “জেরা করার জন্য তিন আফগান মহিলাকে আটকে রেখেছে তালিবান। আফগানিস্তানে যেভাবে মহিলাদের ভয় দেখিয়ে কাজ করতে বাধ্য করা হচ্ছে, তার বিরুদ্ধে অবিলম্বে ব্যবস্থা নিতে হবে। রাষ্ট্রসংঘের হয়ে যতজন আফগানিস্তানে কাজ করছে, সকলকে যথাযথ নিরাপত্তা দিতে হবে। বেশ কিছুদিন ধরেই রাষ্ট্রসংঘের মহিলা কর্মীদের বিরুদ্ধে সক্রিয় হয়ে উঠেছে তালিবান।”
তবে সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছে তালিবান। তাদের তরফে বলা হয়েছে, “আসলে আফগান মহিলাদের একটি জমায়েত হবে বলে মনে করেছিলেন রাষ্ট্রসংঘের (United Nations) কর্মীরা। কিন্তু তাঁরা বুঝতে পারেন, কেবলমাত্র রাষ্ট্রসংঘের কর্মীরাই ওই জমায়েতে থাকবেন। সেই জন্যই মিছিল ছেড়ে যে যার মতো বাড়ি চলে গিয়েছেন।”
অন্যদিকে, আফগানিস্তানে মহিলাদের অধিকার ফেরানোর লক্ষ্যে রাষ্ট্রসংঘের দ্বারস্থ হলেন সেদেশের মহিলারা। রাষ্ট্রসংঘে একটি চিঠি লিখে তাঁরা জানিয়েছেন, দেশের সমস্ত ক্ষেত্র থেকেই তাঁদের কার্যত মুছে ফেলার চেষ্টা চালাচ্ছে তালিবান। সেই সঙ্গে দেশের কোনও ব্যক্তিরই মানবাধিকার সুরক্ষিত নয়। তাই সাধারণ মানুষকে রক্ষা করতে অবিলম্বে আন্তর্জাতিক মহলকে সক্রিয় ভূমিকা নিতে হবে। এই মর্মেই চিঠি দেওয়া হয়েছে রাষ্ট্রসংঘের কাছে।
জেনেভায় রাষ্ট্রসংঘের মানবাধিকার কমিশনের মুখোমুখি হয়েছিলেন মহিলা আফগান সাংবাদিক মাহবুবা সিরাজ। সোমবার রাষ্ট্রসংঘের সামনে তিনি বলেন, “একটি গোষ্ঠীর দয়ার উপরে নির্ভর করছে আফগান মহিলাদের ভবিষ্যৎ। আমাদের দেশে মহিলাদের কোনও ভূমিকা নেই। কার্যত মুছে দেওয়া হচ্ছে আমাদের।” তিনি আরও বলেন, অবিলম্বে এই বিষয়ে মানবাধিকার কমিশনের হস্তক্ষেপ করা দরকার।
সংবাদ প্রতিদিন /এনবিএস/২০২২/একে