কাঁঠালের পুষ্টিগুণ
গ্রীষ্মের রসালো ফল কাঁঠালে এখন বাজার সয়লাব। সব বয়সী নারী-পুরুষের জন্য এই ফল খুব উপকারী। সুস্থ থাকতে যে কেউ প্রতিদিন কাঁঠাল খেতে পারে। কাঁঠালের পুষ্টিগুণ নিয়ে লিখেছেন ডায়েট প্লানেট বাংলাদেশের পুষ্টিবিদ মাহবুবা চৌধুরী
► কাঁঠালে থাকে ৯০ শতাংশ কার্বোহাইড্রেট। এতে থাকা শর্করা, ফ্রুক্টোজ ও সুক্রোজ দ্রুত শক্তির জোগান দেয়। আমিষ, শ্বেতসার অপুষ্টিজনিত সমস্যা দূর করে।
► কাঁঠালে চর্বি বা কোলেস্টেরলের পরিমাণ খুব কম। এতে থাকা ভিটামিন ‘এ’ দৃষ্টিশক্তি বাড়ায়, রাতকানা ও অন্ধত্ব থেকে রক্ষা করে। ভিটামিন ‘সি’ রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধির পাশাপাশি দাঁতের মাড়িকে শক্তিশালী করে।
► পর্যাপ্ত বিটা ক্যারোটিন, ক্যালসিয়াম ও ম্যাগনেসিয়াম দাঁত ও হাড় সুস্থ রাখে, ত্বক সুন্দর করে। এতে থাকা অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট ত্বকের বলিরেখা দূর করে বা বয়সের ছাপ কমায়।
► ১০০ গ্রাম কাঁঠালে পটাশিয়ামের পরিমাণ ৩০৩ মিলিগ্রাম, যা উচ্চ রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করে।
► এতে প্রচুর পরিমাণে বিদ্যমান ফাইটোনিউট্রিয়েন্টস আলসার, ক্যান্সার, উচ্চ রক্তচাপ ও বার্ধক্য প্রতিরোধে সক্ষম।
► কাঁঠালে থাকা শক্তিশালী অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট দেহকে ক্ষতিকর ফ্রির্যাডিক্যালস থেকে রক্ষা করে। সর্দি-কাশির সংক্রমণ ঠেকাতে, টেনশন এবং নার্ভাসনেস কমাতে কাঁঠাল বেশ কার্যকর।
► কাঁঠালে থাকা খনিজ উপাদান আয়রন ও রক্তাল্পতা দূর করে। ম্যাঙ্গানিজ রক্তে শর্করা বা চিনির পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।
ম্যাগনেসিয়াম, ক্যালসিয়ামের মতো হাড়ের গঠন ও হাড় শক্তিশালীকরণে ভূমিকা পালন করে।
ছয় মাস বয়সের পর থেকে মায়ের দুধের পাশাপাশি শিশুকে কাঁঠালের রস খাওয়ালে শিশুর ক্ষুধা নিবারণ ও প্রয়োজনীয় ভিটামিনের অভাব পূরণ হয়।
প্রতিদিন ২০০ গ্রাম পরিমাণ পাকা কাঁঠাল খেলে গর্ভবতী নারী ও গর্ভস্থ শিশুর সব ধরনের পুষ্টির অভাব দূর হয়।
সতর্কতা
যারা ডায়াবেটিক রোগী এবং যাঁদের হজমের সমস্যা রয়েছে, কাঁঠাল খাওয়ার ক্ষেত্রে তাদের একটু সতর্ক থাকতে হবে।


