পেঁপের ভেতরে উপস্থিত একাধিক উপকারি উপাদান পেটের রোগের প্রকোপ কমানোর পাশাপাশি ওজন কমাতে, ত্বককে সুন্দর করে তুলতে এবং হার্টের স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটাতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। সেই সাথে সংক্রমণের প্রকোপ কমাতে, ক্যান্সারের মতো মারণ রোগকে দূরে রাখতে এবং রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থার উন্নতি ঘটাতেও পেঁপের কোনও বিকল্প আছে বলে তো মনে হয় না।
পুষ্টিবিদদের কাছে পেঁপের পরিচয় ‘সুপারফুড’ হিসেবে। স্বাস্থ্যকর খাবারের তালিকায় বরাবরই ওপরের দিকে থাকে পেঁপের নাম। কাঁচা ও পাকা—দুই অবস্থাতেই সারা বছর বাজারে পাওয়া যায়। দুই অবস্থাতেই আমাদের শরীরের রোগবালাই প্রতিরোধে সমান কার্যকর। তবে পাকা পেঁপে না কাঁচা পেঁপে ? কোনটা স্বাস্থ্যের জন্য সেরা কাজ দেয়?
কোন পেঁপে স্বাস্থ্যর জন্য সেরা চলুন জেনে নিই—
পাকা পেঁপে খেতে ভালো, সুস্বাদু। অনেকেই মনে করেন পাকা পেঁপের পুষ্টিগুণ বেশি। কিন্তু এটি ভুল ধারণা। বিশেষজ্ঞদের মতে, পাকা পেঁপের থেকে বেশি স্বাস্থ্যগুণ রয়েছে কাঁচা পেঁপেতে। কাঁচা পেঁপে পেট পরিষ্কার করে। আর এতে থাকা ফাইবার কোষ্ঠকাঠিন্য, পাইলস, ডায়রিয়া ও গ্যাসের সমস্যা নিরাময়ে কার্যকরী। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতেও দারুণ উপকারী পেঁপের কাঁচা সংস্করণ। এর বিটাক্যারোটিন, ট্যানিন, স্যাপোনিন ইমিউনিটির জরুরি উপাদান।
যারা ডায়াবেটিসে ভুগছেন তারা কাঁচা পেঁপে খাওয়ার অভ্যাস শুরু করুন। খেতে পারেন কাঁচা পেঁপের জুসও। কাঁচা পেঁপে বা এর জুস রক্তে চিনির পরিমাণ কমায়, শরীরে ইনসুলিনের পরিমাণ বাড়ায়। পেঁপেতে রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট এবং পটাশিয়াম যা হার্ট ভালো রাখে। পটাশিয়াম রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে, স্ট্রোকের ঝুঁকি কমায়।
ওজন কমাতে কাঁচা পেঁপে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এতে যথেষ্ট আঁশ বা ফাইবার রয়েছে। পেঁপেতে খুব কম ক্যালোরি থাকে, রয়েছে মেদ কমানোর জন্য বিশেষ কিছু উপাদান ।
নিয়মিত কাঁচা পেঁপে খেলে ত্বকের সমস্যা দূর হয়। বিশেষ করে ব্রণ এবং ত্বকের নানা দাগ দূর করতে পারে কাঁচা পেঁপে। কাঁচা পেঁপে ত্বক থেকে মৃত কোষ দূর করে। পেঁপেতে রয়েছে ভিটামিন এ, সি এবং ই, আছে অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট। এই সমস্ত উপাদান ত্বককে ভিতর থেকে সতেজ এবং সজীব রাখে। ত্বকের পুষ্টিদায়ক উপাদান কোলাজেন বৃদ্ধিতেও সাহায্য করে পেঁপে। নিয়ম করে পেঁপে খেলে ত্বক ঝলমলে হবে।
পেঁপেতে থাকা প্যাপেইন বিপাকহার বাড়িয়ে তোলে। এ ছাড়াও পেঁপেতে থাকা ফাইবার পেটের সমস্যা কমায়। কাঁচা পেঁপে হজমের সমস্যায় মহৌষধ।