কাফ সিরাপে কি আদৌ কাশি সারে? কী বলছেন বিশেষজ্ঞরা


 আফ্রিকার গাম্বিয়া ও উজবেকিস্তানের পরে স্বভাবতই এই প্রশ্নটা উঠেছে, কাফ সিরাপে আদৌ কোনও কাজ হয় কিনা! কাফ সিরাপ (cough syrup) খেলে কি সত্যিই কাশি সারে? যাঁরা দিনের পর দিন বোতলের পর বোতল কাশির ওষুধ খেয়ে যাচ্ছেন এবং কাশিতেও ভুগছেন, তাঁরা এই প্রশ্নটা প্রায়ই করেন। সাধারণ মানুষের জন্য উত্তর দিয়েছেন বিশেষজ্ঞ ডাক্তাররা।
হায়দরাবাদের যশোদা হাসপাতালের সংক্রামক রোগ বিশেষজ্ঞ ডা. মোনালিসা সাহু বলছেন, কাফ সিরাপ দু’রকমের হয়। একটা শুকনো কাশির জন্য, আর একটা ক্রনিক কাশির সমস্যা থাকলে বা অন্য রোগ থেকে কাশির উপসর্গ দেখা দিলে তার জন্য। ডাক্তারবাবুর মত, কাফ সিরাপে (cough syrup) এমন সব উপাদান থাকে যা কাশির উপসর্গগুলোকে দমিয়ে দিতে পারে। মানে, যখন তখন কাশির বেগ উঠবে না, গলা বসে থাকলে তাতে আরাম হবে, অনবরত কাশি হতে থাকলে তা অনেকটাই কমবে। কিন্তু পুরোপুরি কাশি সারিয়ে দিতে পারে, এমন কাফ সিরাপ এখনও তৈরি হয়নি। 
ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল অ্য়াসোসিয়েশনের (IMA) প্রেসিডেন্ট, ডা. শরদ আগরওয়াল বলছেন, একই উপাদানে তৈরি হলেও বিভিন্ন ওষুধে ভিন্ন হয় তীব্রতার মাত্রা। আর এই তীব্রতার মাত্রার সামান্য হেরফেরও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। যেমন একই ওষুধের মাত্রা আলাদা হয় ২ বছর বা ৬ বছরের শিশুদের জন্য। অনেক ক্ষেত্রে ১২ বছরের কম শিশুদের কাশি দমানোর ওষুধ দিতে সঙ্কোচ বোধ করেন চিকিৎসকরা। বড়দের ক্ষেত্রেও তেমনই। 
৫০ হাজার বছর পর ফিরে আসছে সেই প্রাচীন ধূমকেতু, নিয়ান্ডারথালদের সময় এসেছিল 
একটা নির্দিষ্ট মাত্রার ডোজ আছে সব ওষুধেরই। কিন্তু খাওয়ার সময় সেটা আমরা মাথায় রাখি না। বাচ্চা হোক বা প্রাপ্তবয়স্ক, শরীরের অবস্থা, ওজন, বয়স সব দেখেই ওষুধের ডোজ নির্ধারিত হয়। শরীর কতটা খারাপ হলে কী ডোজে ওষুধ খেতে হবে সেটা ডাক্তারই বলে দিতে পারেন। কিন্তু সর্দি-কাশির ওষুধ বা কাফ সিরাপ আমরা ডাক্তারকে না জিজ্ঞেস করেই ইচ্ছামতো ঢেলে খেতে শুরু করে দিই। অজান্তে তার ফলও হয় মারাত্মক। নানারকম পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দিতে থাকে। অতিরিক্ত ঘাম, বমিভাব, ক্লান্তি-ঝিমুনি, সেই সঙ্গে মস্তিষ্কেও প্রভাব পড়তে পারে।
চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, কাশির ওষুধ একটা নির্দিষ্ট মাত্রার বেশি খেলে তা শরীরের জন্য বিপজ্জনক। যকৃতের ক্ষতি হয়। মানসিক অবসাদ বাড়তে থাকে। নিয়মিত সিরাপ সেবনে খাদ্যনালী আক্রান্ত হয়। তা থেকে ক্যানসার পর্যন্ত হতে পারে। এ ছাড়া মুখের ভিতরে ক্ষত, চর্মরোগ, স্নায়ু ও মস্তিস্কের সমস্যা হতে পারে।

খবর দ্য ওয়ালের /এনবিএস/২০২৩/একে
 

news