খেলাফত মজলিসের মহাসচিব ড. আহমদ আবদুল কাদের বলেছেন, ভারতের শাসকদলের নেতা-নেত্রীরা মহানবী সা. কে হেয় করে যে বক্তব্য দিয়েছে তা বিশ্বের ২০০ কোটি মুসলমানের হৃদয়ে আঘাত হেনেছে। মহানবী সা. কে অবমাননার জন্য ভারতকে রাষ্ট্রীয়ভাবে বিশ্ব মুসলিমের কাছে ক্ষমা চাইতে হবে। ভবিষ্যতে এ ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি না ঘটে তা নিশ্চিত করতে হবে। ভারতের মুসলমানদের নাগরিক অধিকার ও ধর্মীয় স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে হবে। আর মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশ হিসেবে বাংলাদেশকে রাষ্ট্রীয়ভাবে ভারতে মহানবী সা. এর অবমাননার প্রতিবাদ জানাতে হবে। ভারতে বিজেপি সরকারের প্রধান মুখপাত্র কর্তৃক মহানবী সা. এর বিরুদ্ধে অবমাননাকর বক্তব্যের প্রতিবাদে খেলাফত মজলিস ঢাকা মহানগরী আয়োজিত বিক্ষিাভ মিছিল পরবর্তী সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
আজ ১০ জুন শুক্রবার বাদ জুম্মা পল্টন মোড়ে ঢাকা মহানগরী উত্তরের সভাপতি ডাঃ রিফাত মালিকের সভাপতিত্বে ও দক্ষিণের সভাপতি অধ্যাপক মাওলানা আজীজুল হকের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক তাওহিদুল ইসলাম তুহিনের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত সমাবেশে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন সংগঠনের নায়েবে আমীর মাওলানা আহমদ আলী কাসেমী।
অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন সংগঠনের যুগ্মমহাসচিব অধ্যাপক মো: আবদুল জলিল, কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা তোফাজ্জল হোসেন মিয়াজী, ঢাকা মহানগরী দক্ষিেিণর সভাপতি অধ্যাপক মাওলানা আজীজুল হক, ঢাকা মহানগরী উত্তরের সাধারণ সম্পাদক মাওলানা সাইফ উদিÍন আহসদ খন্দকার, ছাত্র মজলিসের সেক্রেটারী জেনারেল বিলাল আহমদ চৌধুরী প্রমুখ।
উপস্থিত ছিলেন শ্রমিক মজলিস সভাপতি হাজী নূর হোসেন, ঢাকা মহানগরী উত্তরের সহসভাপতি খন্দকার সাহাব উদ্দিন আহমদ, দক্ষিণের সহসভাপতি মোঃ জহিরুল ইসলাম, মুহাম্মদ জিল্লুর রহমান, সহ-সাধারণ সম্পাদক মোঃ আবুল হোসেন, এইচএম হুমায়ুন কবির আজাদ, কাজী আরিফুর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা ফারুক আহমদ ভূঁইয়া, শ্রমিক মজলিসের সহসভাপতি আমীর আীল হাওলাদার, সাধারণ সম্পাদক মোঃ আবুল কালাম, মাওলানা খালেদ সানোয়ার প্রমুখ। সমাবেশ শেষে নাতে রাসুল পরিবেশন করেন দাবানল শিল্পীগোষ্ঠীর সদস্যবৃন্দ।
সমাবেশের পূর্বে ভারতের বিজেপি মুখপাত্র কর্তৃক মহানবীর শাণে অবমাননাকর বক্তব্যেল প্রতিবাদে জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের উত্তর গেইট থেকে এক বিরাট বিক্ষোভ মিছিল পল্টন মোড়, বিজয়নগর ঘুরে সমাবেশ স্থলে আসে।