নীলফামারী জেলার ডিমলা উপজেলায় উজান থেকে নেমে আসা ঢলে খরস্রোতা তিস্তা নদী বেসামাল হয়ে পড়েছে। এতে ৯ নং টেপাখড়িবাড়ি ইউনিয়নের স্বপন বাঁধ ভেঙে ৯ নং ওয়ার্ড দঃ খড়িবাড়ি এলাকার প্রায় ১৫০ পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে।
১৯ জুন বিকালে ডিমলা উপজেলায় বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর উদ্যোগে বন্যার্ত পানিবন্দি অসহায় ও দুস্থ পরিবারের মাঝে ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করা হয়। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা আবদুল হালিম।
এ সময় প্রধান অতিথি বলেন, “দেশের মানুষ আজ কঠিন পরীক্ষার দ্বারে। ভয়াবহ বন্যায় বাড়ি-ঘর, আবাদি ফসল, গবাদি পশু, হাঁস-মুরগি, পুকুরের মাছসহ অপুরণীয় ক্ষতি সাধিত হয়েছে। বন্যার্ত মানুষের যখন ত্রাহি ত্রাহি অবস্থা, বাঁচাও বাঁচাও চীৎকার রব শোনা যাচ্ছে, ঠিক তখন আমাদের দেশের কিছু হাইব্রিড পাতি নেতা আখের গোছাতে ব্যস্ত। এটা জাতির জন্য খুবই দুঃখজনক।
তিনি আরো বলেন, যে কোনো দুর্যোগে জামায়াতে ইসলামী জনগণের পাশে থাকে। গণমানুষের প্রিয় সংগঠন জামায়াত সকল দুর্যোগে সাধ্যানুযায়ী ত্রাণ সহায়তা নিয়ে দরিদ্র-অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ায়। তারই ধারাবাহিকতায় জামায়াতে ইসলামীর পক্ষ থেকে নীলফামারী জেলার ডিমলা উপজেলার বন্যা কবলিত এলাকায় ত্রাণ সহায়তা নিয়ে আমরা বানভাসী মানুষের পাশে এসেছি। আমরা ১২০টি দরিদ্র-অসহায় পরিবারের মাঝে শুকনো খাবারের প্যাকেট বিতরণ করেছি।
আর্ত-পীড়িত অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ানো রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের নির্দেশ। তাই সমাজের বিত্তশালী ও হৃদয়বান সকল মানুষের উচিত দরিদ্র মানুষের সাহায্যে এগিয়ে আসা। জামায়াতে ইসলামী সমাজের কল্যাণে কাজ করে যাচ্ছে। ভবিষ্যতেও জামায়াতে ইসলামী সমাজের সকল মানুষের সুখে-দুখে পাশে থাকবে ইনশাআল্লাহ।”
ত্রাণ বিতরণ অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নীলফামারী জেলা শাখার সেক্রেটারি অধ্যক্ষ মাওলানা আব্দুস সাত্তার, জেলা সহকারী সেক্রেটারি জনাব আনোয়ারুল ইসলাম, ডিমলা উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান অধ্যাপক মাওলানা মুজিবুর রহমান, ডিমলা উপজেলা জামায়াতের আমীর উপাধ্যক্ষ মহিউর রহমানসহ উপজেলা ও ইউনিয়ন শাখা জামায়াতের নেতৃবৃন্দ।