বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা আবুদল হালিম বলেন, “দেশের উত্তরাঞ্চলের জেলা কুড়িগ্রাম, লালমনিরহাট ও নীলফামারী জেলার কয়েকটি নদীতে ভয়াবহ বন্যা শুরু হয়েছে। বন্যার পানিতে বাড়িঘর ও জমির ফসল ডুবে যাওয়ায় মানুষ দিশেহারা হয়ে পড়েছে। অব্যাহতভাবে পানি বৃদ্ধির ফলে হাঁস-মুরগি ও গবাদিপশু নিয়ে মানুষ চরম দুর্ভোগে পড়েছে। বন্যাকবলিত অঞ্চলে খাদ্য ও বিশুদ্ধ খাবার পানির সঙ্কট তীব্র আকার ধারণ করেছে। পানিবাহিত নানা রোগ-ব্যাধি ছড়িয়ে পড়েছে। নদ-নদীর পানি বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় নদ-নদীর ভাঙনও বৃদ্ধি পাচ্ছে। এই ভয়াবহ পরিস্থিতিতে সরকারের পক্ষ থেকে এখন পর্যন্ত বন্যার্তদের সাহায্যার্থে কোনো তৎপরতা জনগণের কাছে দৃশ্যমান হয়নি। সরকারের এ নীরব ভূমিকা জনগণকে বিস্মিত করেছে। সরকারের উচিত দ্রুত জনগণের পাশে দাঁড়ানো।”
মাওলানা আবদুল হালিম কুড়িগ্রাম জেলার রৌমারী উপজেলার যাদুরচর ইউনিয়নের বকবান্ধা, লাঠিয়াল ডাঙা, খেওয়ারচর, দুবলাবাড়িসহ বিভিন্ন এলাকায় বন্যাকবলিত জনগণের মাঝে ত্রাণ বিতরণকালে প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপরোক্ত কথাগুলো বলেন।
প্রধান অতিথি মাওলানা আবদুল হালিম আরো বলেন, “ভয়াবহ বন্যার এই দুর্যোগে গণমানুষের সংগঠন জামায়াত তার সাধ্যানুযায়ী ত্রাণ সহায়তা নিয়ে বানভাসী মানুষের পাশে এসে দাঁড়িয়েছে। যে কোনো দুর্যোগে জামায়াতে ইসলামী জনগণের পাশে থাকে। বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী সিলেট ও সুনামগঞ্জে বন্যাকবলিত মানুষের পাশে যেভাবে দাঁড়িয়েছে তার অংশ হিসেবে কুড়িগ্রাম জেলার রৌমারী উপজেলার যাদুরচর ইউনিয়নের বন্যাকবলিত এলাকায় আমরা এসেছি অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়াতে। অসহায় মানুষের সেবা করার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, বিশ্বনবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) অসহায় মানুষের কল্যাণে কাজ করার জন্য উদ্বুদ্ধ করে গেছেন। আমরা সেই পথ ধরে অসহায় মানুষের পাশে ছিলাম, আছি এবং থাকবো ইনশাআল্লাহ। এসময় রৌমারী উপজেলার যাদুরচর ইউনিয়নের বকবান্ধা, দুবলাবাড়ি, লাঠিয়ালডাঙ্গা, খেয়ারচর ও আগলারচরে বন্যাকবলিত দুইশত পরিবারের মাঝে চিড়া, গুড়, আটা, সাবান, খাবার স্যালাইন ও গ্যাস লাইট বিতরণ করা হয়।
ত্রাণ বিতরণকালে বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন কুড়িগ্রাম জেলা জামায়াতের আমীর মাওলানা আবদুল মতিন ফারুকী, জেলা কর্মপরিষদ সদস্য মাওলানা হাবিবুর রহমান, রৌমারী উপজেলা আমীর জনাব মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তাক, উপজেলা সেক্রেটারি আবুল কালাম আজাদ, রাজীবপুর উপজেলা আমীর মাও: আব্দুল লতিফ ও সেক্রেটারি মাও: আব্দুল আজিজ, ছাত্রশিবির রৌমারী উপজেলা সভাপতি মো: রাসেদুল ইসলাম ও সেক্রেটারি বহারুল ইসলাম প্রমুখ।