মাইল্ড হার্ট অ্যাটাকের পর ১১ জুন থেকে থেকে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বিএনপি চেয়ারপারসন। সেদিনই তার হার্টে তিনটি ব্লক ধরা পড়ে। হার্টের মেইন আর্টারিতে ব্লক ছিলো ৯৯ শতাংশ, সেটিতে রিং পরানো হয়েছে। বাকি দুটি ব্লকের ব্যাপারে পরবর্তীতে সিদ্ধান্ত নেওয়ার কথা।
১৫ জুন তাকে সিসিইউ থেকে কেবিনে আনা হয়েছে। তার সর্বশেষ অবস্থা সম্পর্কে জানতে চাইলে চিকিৎসকদের পক্ষ থেকে নতুন কিছু জানা যায়নি। বেগম জিয়া প্রসঙ্গে তারা একটি কথাই জোর দিয়ে বলছেন, তার কী কী সমস্যা আছে, তা সবারই জানা। আর এসব রোগের সুচিকিৎসার ব্যবস্থা বাংলাদেশে নেই। কিন্তু তাকে বিদেশ নেওয়ার আবেদনে সরকার সাড়া দিচ্ছেন না। সুতরাং তিনি কেমন আছেন, তা নতুন করে বলার আর কী আছে, বেশ উষ্মার সঙ্গে বলেছেন বেগম জিয়ার চিকিৎসায় গঠিত মেডিক্যাল বোর্ডের একজন সদস্য।
২০২১ সালের এপ্রিলে কোভিডে আক্রান্ত হন বেগম খালেদা জিয়া। সেই থেকে এ পর্যন্ত তাকে পঞ্চমবারের মতো হাসপাতালে নেওয়া হলো। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, বেগম জিয়ার পরিপাকতন্ত্রে' রক্তক্ষরণ হয়েছিলো, যা আপাতত নিয়ন্ত্রণে আছে। তার লিভার সিরোসিসও হয়েছে। এছাড়া দীর্ঘদিন ধরে আর্থ্রাইটিস, ডায়াবেটিস এবং কিডনি, ফুসফুস ও চোখের সমস্যায় ভুগছেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী।
পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, আর্থ্রাইটিস ও ফুসফুসের সমস্যা কিছুটা বেড়েছে। ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে থাকলেও গত তিনদিন ধরে রক্তচাপ ওঠানামা করছে।
জানতে চাইলে বিএনপি চেয়ারপারসনের প্রেস উইং সদস্য শায়রুল কবির খান জানান, তার অবস্থা অনেকটা স্থিতিশীল। তাকে নিবিড় পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে। বাড়ি ফেরার বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত এখনো হয়নি।