মঙ্গলবার দুপুরে শেরে বাংলা নগরে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের কবরে শ্রদ্ধা নিবেদনের পর সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বিএনপি মহাসচিব এই মন্তব্য করেন।

মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে ফ্যাসিস্ট অত্যাচারি-নিপীড়নকারী-হত্যাকারী শেখ হাসিনা দেশে ছেড়ে তার জনগনকে ছেড়ে পালিয়েছেন। দুর্ভাগ্য আমাদের যে, আজকে পার্শ্বর্বতী দেশ ভারত তাকে আশ্রয় দিয়েছে। সেখান থেকে তিনি আবার বাংলাদেশের ছাত্র-জনতার যে বিপ্লব সেটাকে নস্যাৎ করবার বিভিন্ন চক্রান্ত শুরু করেছে। 

ভারতের কাছে আমাদের আহ্বান থাকবে, আপনারা তাকে আইনানুগভাবে বাংলাদেশ সরকারের কাছে কাছে তু্লে দেন এবং দেশের মানুষ যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে সেই সিদ্ধান্ত হচ্ছে তার বিচার করার সেই বিচারের সম্মুখিন তাকে হতে দেন।

 অন্তর্বতীকালীন সরকার প্রসঙ্গে মির্জা ফখরুল বলেন, যে জঞ্জাল আওয়ামী লীগ সরকার সৃষ্টি করে গেছে সেটাকে দূর করতে অবশ্যই কিছু সময় দরকার। একটি সঠিক সুন্দর নির্বাচন করার জন্য হলেও একটা সময়ের দরকার যে সময়ে নির্বাচনকালীন নতুন সরকার তারা সেই লক্ষ্যে কাজ করতে পারবে, সংস্কারগুলো করতে পারবে সেই সময় অবশ্যই এদেশের মানুষ  তাদেরকে দেবে।


গণতন্ত্র রক্ষায় সকলকে সজাগ থাকতে হবে উল্লেখ সদ্য স্থায়ী কমিটিতে জায়গা পাওয়া মেজর অব.হাফিজ উদ্দিন আহমেদ বলেন,  আবু সাঈদ জীবন দিয়ে বাংলাদেশের গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার পথ উন্মুক্ত করে দিয়েছেন। মানবাধিকার এতোদিন লঙ্ঘিত ছিলো, গণতন্ত্র আওয়ামী লীগ সরকার নির্বাসনে পাঠিয়ে দিয়েছিলো।

সদ্য স্থায়ী কমিটিতে দায়িত্ব পাওয়া অধ্যাপক এজেডএম জাহিদ হোসেন বলেন, ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে স্বৈরাচার পালিয়ে গেছে। দেশ আজকে একটি নবতর স্বাধীনতা পেয়েছে। একবার আমরা ১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবস পেয়েছি। আর এবার সত্যিকার অর্থে ৫ আগস্ট নতুন প্রজন্ম দেখতে পেলো, স্বাদ পেলো স্বাধীনতা কাকে বলে, কথা বলার স্বাধীনতা, বাক-ব্যক্তি স্বাধীনতা কাকে বলে। মানবাধিকার ছিলো না। এক ব্যক্তির শাসন ছিলো সেখান থেকে আজ আমরা মুক্ত হয়েছি। গণতন্ত্রের যাত্রা পথের মুক্তিকে আমাদেরকে সম্মুন্নত রাখতে হবে।

দলের স্থায়ী কমিটির নিয়োগকৃত দুই নতুন সদস্য অবসরপ্রাপ্ত মেজর হাফিজ উদ্দিন আহমেদ ও অধ্যাপক এজেডএম জাহিদ হোসেনকে নিয়ে বেলা সাড়ে ১২টায় বিএনপি মহাসচিব শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের কবরে আসেন। তার কবরে পুস্পমাল্য অর্পন করে শ্রদ্ধা নিবেদন এবং বিশেষ মোনাজাত করেন।

এ সময়ে বিএপির কেন্দ্রীয় নেতা মীর সরাফত আলী সপু, রিয়াজুল ইসলাম রিজু, শামীমুর রহমান শামীম, যুব দলের মোনায়েম মুন্না, নুরুল ইসলাম নয়ন সহাস্রাধিক নেতা-কর্মী উপস্থিত ছিলেন।

news