জুলাই ঘোষণাপত্রের ওপর আলোচনার জন্য অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে আয়োজিত সর্বদলীয় বৈঠকে বিএনপির অংশগ্রহণ নিয়ে অনিশ্চয়তা রয়ে গেছে। দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর জানান, এখনো কোনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি।
আজ সকালে রাজধানীতে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের মন্তব্যের পর এই বিষয়ে আলোচনার নতুন মোড় নেয়। তবে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকুর একটি মন্তব্যে বলা হয়েছিল, বিএনপি বৈঠকে অংশ নেবে না।
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রেস উইং জানিয়েছে, আজ বৃহস্পতিবার বিকেল ৪টা থেকে সন্ধ্যা ৭টার মধ্যে ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হবে।
এ বিষয়ে বুধবার রাতে উপদেষ্টা মাহফুজ আলম জানান, “জুলাই ঘোষণাপত্র নিয়ে আমরা বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আলোচনা করেছি। অধিকাংশ পয়েন্টে ঐকমত্য হলেও কিছু বিষয়ে ভিন্নমত রয়েছে। বৈঠকের পর আমরা পরবর্তী পদক্ষেপ জানাব।”
বিষয়টি নিয়ে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সমন্বয়ক শহিদুল ইসলাম বলেন, “আমাদের আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে এবং আমরা বৈঠকে অংশ নেব।”
ন্যাশনালিস্ট ডেমোক্রেটিক মুভমেন্টের (এনডিএম) চেয়ারম্যান ববি হাজ্জাজ বলেন, “আমরা একজন প্রতিনিধি পাঠাবো। তবে আলোচনা কি বিষয়ে তা স্পষ্ট নয়।”
অন্যদিকে, ১২–দলীয় জোটের মুখপাত্র শাহদাত হোসেন সেলিম জানান, তাদের আমন্ত্রণের প্রক্রিয়া স্পষ্ট নয় এবং তারা বৈঠকে অংশ নেবেন না।
গণতন্ত্র মঞ্চ এবং সিপিবি বৈঠকে অংশগ্রহণ নিয়ে সিদ্ধান্ত নেয়নি। সিপিবি মহাসচিব রুহিন হোসেন অভিযোগ করেন, “আমাদের তাড়াহুড়ো করে দাওয়াত দেওয়া হয়েছে। বিষয়টি ঠিকভাবে স্পষ্ট নয়।”
জুলাই ঘোষণাপত্রের বিষয়ে বৈঠকে কারা অংশ নেবে এবং বৈঠকের ফলাফল কী হবে তা নিয়ে রাজনৈতিক অঙ্গনে আলোচনার ঝড় বইছে। এখন দেখার বিষয়, এই বৈঠক বাংলাদেশে রাজনৈতিক ঐকমত্যের নতুন দিগন্ত উন্মোচন করতে পারে কিনা।


