কলকাতায় আশ্রয় নেয়া আওয়ামী লীগ কর্মীদের উদ্বেগ আর উৎকণ্ঠা
কলকাতায় আশ্রয় নেয়া অনেক আওয়ামী লীগ কর্মী এখন গভীর উদ্বেগের মধ্যে আছেন। গত কয়েক মাস ধরে তারা শরণার্থী জীবনযাপন করছেন, ভয় এবং শঙ্কার মধ্যে দিন কাটাচ্ছেন। বিশেষ করে, কুমিল্লার অনেক কর্মী, যারা এখন কলকাতার ইস্টার্ন মেট্রোপলিটন বাইপাসের সস্তা হোটেলগুলোতে আশ্রয় নিয়েছেন, তারা বেশিরভাগই ভয় পাচ্ছেন। গত ৫ আগস্টের গণ-অভ্যুত্থান এবং আওয়ামী লীগের বিপর্যয়ের পর এই সব কর্মী পলায়ন করতে বাধ্য হয়েছেন।
এদের মধ্যে অনেকেই দীর্ঘকালীন বৈধ ভিসা নিয়ে ভারতে এসেছেন। তবে, কেউই মুখ খুলতে চাইছেন না, কারণ দেশে তাদের পরিবার এখনও রয়েছে এবং তারা আতঙ্কিত। এমনকি বাংলাদেশের এক সাবেক উচ্চপদস্থ শিক্ষা কর্মকর্তা, যিনি এখন কলকাতায় আশ্রিত, তারও মুখে উদ্বেগ স্পষ্ট। তিনি জানান, তার অনেক সহকর্মী গ্রেফতার হয়েছেন এবং তিনি জানেন না কীভাবে দেশে ফিরবেন।
এদিকে, কলকাতার কিছু অঞ্চলে, বিশেষত মুসলমান প্রধান এলাকায়, আওয়ামী লীগ কর্মীরা নানা সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছেন। তাপস মজুমদার নামের এক সাবেক ছাত্রলীগ কর্মী জানান, তিনি বর্তমানে দক্ষিণ কলকাতার বিজয়গড়ে নিরাপদ আশ্রয়ে রয়েছেন, কারণ মধ্য কলকাতায় তার জন্য জায়গা নিরাপদ নয়। তার মতে, আওয়ামী লীগের মূল সমস্যা হল টাকা—নেতারা দলের অর্থনৈতিক দিকটি ঠিকভাবে পরিচালনা করতে পারেননি, যার ফলে দল ধসে পড়েছে।
কলকাতায় আশ্রিত অনেক কর্মী এখন শুধুমাত্র জীবন বাঁচানোর জন্য এখানে রয়েছেন, তবে তাদের মধ্যে কেউই রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে কথা বলছেন না। তারা শুধু নিরাপত্তার জন্য আতঙ্কিত এবং কবে ফিরে যাবেন তার কোনো নিশ্চয়তা নেই।


