বাংলাদেশের রাজনৈতিক মঞ্চে এক নতুন অধ্যায়ের সূচনা হতে যাচ্ছে। 'দ্বিতীয় প্রজাতন্ত্র' গঠনের লক্ষ্য নিয়ে ছাত্র-নেতৃত্বাধীন নতুন দল, জাতীয় নাগরিক দল (এনসিপি), তরুণ জনগোষ্ঠীর সমর্থনে আত্মপ্রকাশ করছে। মাত্র ছয় মাস পূর্বে, যেখানে রাস্তায় ছাত্র-জনতার রক্তাক্ত ইতিহাস ও বিদ্রোহের স্মৃতি জীবন্ত ছিল, আজকের দিন পরিবর্তনের প্রমাণ দেয়। জাতীয় পতাকার লাল-সবুজ রঙে সজ্জিত জনতার মধ্যে এই দলের বার্তা দ্রুত ছড়িয়ে পড়েছে।
নাহিদ ইসলাম, দলের নেতাসহ কয়েকজন সদস্য জানিয়েছেন, হাসিনার শাসনের পতন ও রাজনৈতিক শূন্যতার মাঝে তরুণদের মধ্যে নতুন দৃষ্টিভঙ্গি ও সজাগতা ফুটে উঠেছে। তাঁদের দাবি, "আসলে আমাদের যথেষ্ট রক্তপাত হয়েছে; এখন সময় এসেছে একটি গণতান্ত্রিক শক্তিতে রূপান্তরের।" এ পরিবর্তনের মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে দেশের সংবিধান পুনর্লিখন ও এক নতুন রাজনৈতিক ব্যবস্থার সূচনা, যেখানে নীতিমালা ও নীতি বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে সমতা ও স্বচ্ছতা নিশ্চিত হবে।
নোবেল পুরস্কার বিজয়ী অর্থনীতিবিদ মুহাম্মদ ইউনূসকে অন্তর্বর্তী সরকারের মুখপাত্র হিসেবে ফিরিয়ে আনার পর, তিনজন তরুণকে উপদেষ্টা হিসেবে নিযুক্ত করা হয়েছে। এ পদক্ষেপ স্পষ্ট করে দেয় যে, নতুন সরকারের মূল ধারা তরুণদের নেতৃত্বে পরিবর্তনের পথচলা। রাজনৈতিক দলের শুরুর মুহূর্তে, নাহিদ বলেন, "আমরা শুধু একটি বিপ্লবী শক্তি ছিলাম না; এখন আমরা গণতান্ত্রিক শক্তিতে রূপান্তরিত হতে চাই।"
তবে, তরুণরা রাজনৈতিক অভিজ্ঞতার অভাবে কিছু চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হলেও, দেশের প্রতিটি পর্যায়ে নিজেদের উপস্থিতি নিশ্চিত করার আত্মবিশ্বাস রয়েছে। দলের সিনিয়র সংগঠক আব্দুল হান্নান জানান, "তিন মাসের মধ্যে আমরা সারা দেশের প্রতিটি স্থান থেকে সমর্থন নিয়ে নির্বাচনী দৃশ্যপটকে আমূল পরিবর্তন করতে সক্ষম হব।"
নতুন তরুণ শক্তি, গণতান্ত্রিক সংস্কারের চালিকা, বাংলাদেশের নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় এক নতুন দিগন্তের সূচনা করতে চলেছে।


