জাতীয় নির্বাচনের নির্দিষ্ট রোডম্যাপ না থাকায় রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে মতবিরোধ বাড়ছে এবং সরকারের ওপর চাপও স্পষ্ট হচ্ছে। প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ডিসেম্বর থেকে জুনের মধ্যে নির্বাচনের প্রস্তাব দিলেও অধিকাংশ দল এই সময়সীমায় আস্থা রাখতে পারছে না। বিএনপি ও সমমনা ৫২টি দল একমত—ডিসেম্বরের মধ্যেই নির্বাচন হতে হবে।

প্রধান উপদেষ্টা সম্প্রতি মন্তব্য করেন, ‘শুধু একটি রাজনৈতিক দল ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন চায়।’ এতে স্পষ্টতই বিএনপিকে ইঙ্গিত করা হয়। তবে বিভিন্ন দল তার এই বক্তব্যকে খণ্ডন করে বলেছে, ডিসেম্বরের মধ্যেই নির্বাচন চায় প্রায় সব গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক শক্তি।

মাহমুদুর রহমান মান্না (নাগরিক ঐক্য), সাইফুল হক (বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি), আন্দালিব রহমান পার্থ (বিজেপি), ববি হাজ্জাজ (এনডিএম), নুরুল হক নুর (গণঅধিকার পরিষদ), মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম (সিপিপি), এবং ১২ দলীয় জোট, গণফোরাম, এলডিপি—সবাই ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন চায় বলে জানিয়েছে।

অন্যদিকে, জামায়াতে ইসলামী, এনসিপি ও ইসলামী আন্দোলনসহ কিছু দল নির্বাচনের আগে মৌলিক সংস্কার ও বিচার নিশ্চিত করার দাবি জানিয়েছে। তারা মার্চ বা এপ্রিলের মধ্যে নির্বাচন চায়।

বিএনপি ও জামায়াতসহ ৬৪টি নিবন্ধিত-অনিবন্ধিত দল গত দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন বর্জন করে। এরপর বিএনপি এক মাস ধরে ৬০টিরও বেশি দলের সঙ্গে আলোচনা করে এবং তাতে দেখা যায়, অন্তত ৫৩টি দল ডিসেম্বরের মধ্যে জাতীয় নির্বাচন চায়।

রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, সরকার এখন রোডম্যাপ না দিয়ে ধোঁয়াশা সৃষ্টি করছে। এতে রাজনৈতিক আস্থা যেমন কমছে, তেমনি বিভক্তিও বাড়ছে। নির্বাচনের ভবিষ্যৎ নির্ভর করছে সরকারের স্বচ্ছতা ও সময়মতো সিদ্ধান্ত গ্রহণের ওপর।

news