বিশ্ব পরিবেশ দিবস উপলক্ষে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান দেশের পরিবেশ রক্ষায় পাঁচটি মূল পদক্ষেপ নেওয়ার অঙ্গীকার করেছেন। বুধবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তিনি এই প্রতিশ্রুতি জানান।
তারেক রহমান বলেন, “চলমান জলবায়ু সংকট ও শিল্প দূষণের প্রেক্ষাপটে এখন বাস্তবভিত্তিক ও সুদূরপ্রসারী একটি জাতীয় কৌশল অপরিহার্য হয়ে উঠেছে। বিএনপি যদি জনগণের ম্যান্ডেট পেয়ে ক্ষমতায় আসে, তবে আমরা পরিবেশ রক্ষায় কয়েকটি কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করব।”
বিবৃতিতে তিনি যে পাঁচটি উদ্যোগের কথা বলেন, তা হলো:
১. জাতীয় গ্রিন রিকভারি প্ল্যান—পুনর্বনায়ন, নবায়নযোগ্য জ্বালানি ও টেকসই কৃষিকে অগ্রাধিকার দিয়ে।
২. পরিবেশবান্ধব পণ্যের ব্যবহার—প্লাস্টিক ও বিষাক্ত রাসায়নিক নিষিদ্ধ করে শিল্প ও গৃহস্থালির জন্য বিকল্প পণ্যকে উৎসাহ।
৩. নদী-খাল পুনরুদ্ধার—জলাবদ্ধতা রোধ ও জলজ পরিবেশ রক্ষায় পূর্ণাঙ্গ খনন প্রকল্প বাস্তবায়ন।
৪. দক্ষিণাঞ্চলে জলবায়ু সহনশীল অবকাঠামো—প্রবণ অঞ্চলগুলোতে কৃষি ও বাসস্থান টেকসই করা।
৫. পরিবেশ শিক্ষা—স্কুল পাঠ্যক্রমে পরিবেশ বিষয়ক শিক্ষা অন্তর্ভুক্ত করে সচেতন নাগরিক গড়ে তোলা।
তিনি বলেন, “পরিবেশ রক্ষা কোনো বিলাসিতা নয়, এটা আমাদের দায়িত্ব। ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য এই প্রাকৃতিক ঐশ্বর্য সংরক্ষণ আমাদের নৈতিক কর্তব্য।”
তারেক রহমান বিএনপির পরিবেশ সচেতন রাজনৈতিক উত্তরাধিকারের কথা স্মরণ করিয়ে দেন—১৯৭৭ সালে জিয়াউর রহমানের দূষণ নিয়ন্ত্রণ প্রকল্প এবং ১৯৯৫ সালে খালেদা জিয়ার ‘পরিবেশ সংরক্ষণ আইন’ প্রণয়ন ও পরিবেশ আদালত প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ। তিনি বলেন, “সবুজ, বাসযোগ্য ও টেকসই বাংলাদেশ গঠনে আমাদের এখনই ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে।


