আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের কলকাতা থেকে বিবিসি বাংলার সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে জানান, তিনি এখনো দলটির সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। দীর্ঘ সময় ধরে নিখোঁজ থাকার পর এই প্রথমবারের মতো তিনি গণমাধ্যমে মুখ খুললেন।

গত বছরের ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর ওবায়দুল কাদের আত্মগোপনে চলে যান। তার ভাষ্যমতে, ঢাকার জাতীয় সংসদ ভবনের সরকারি বাসা থেকে পালিয়ে তিনি নিরাপদ আশ্রয়ের খোঁজে বিভিন্ন বাসা পরিবর্তন করেন এবং শেষমেশ নভেম্বরে দেশ ছাড়েন। বর্তমানে তিনি কলকাতায় অবস্থান করছেন।

আন্দোলনের সময় তিনি ও তার স্ত্রী একটি বাড়ির বাথরুমে আশ্রয় নিয়েছিলেন এবং আন্দোলনকারীদের একটি দল তাকে রক্ষা করে বাইরে নিয়ে যায় বলে দাবি করেন কাদের। তাদের সহানুভূতির কারণেই তিনি প্রাণে বেঁচে যান বলে জানান।

তিনি বলেন, “আমি এখনও আওয়ামী লীগের বৈধ সাধারণ সম্পাদক। আমাদের কাউন্সিল ডিসেম্বর পর্যন্ত মেয়াদ দিয়েছে। রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা ফিরে এলে দেশের মাটিতে ফিরে রাজনীতি করব।”

আন্দোলনের সময় সংঘটিত সহিংসতার জন্য এখনই ক্ষমা চাওয়ার প্রয়োজন আছে কি না—এ প্রশ্নে কাদের বলেন, “আমরা দেশের ভিতরে ফিরে রাজনীতি করার পরিবেশ পেলে প্রয়োজন হলে অনুশোচনা বা ক্ষমা চাইতেও প্রস্তুত আছি।”

তিনি আরও দাবি করেন, আন্দোলন ছিল না ‘গণউত্থান’, বরং এতে ‘সাম্প্রদায়িক শক্তির উত্থান’ ঘটেছে। তবে আন্দোলনের পেছনে ষড়যন্ত্র ছিল কি না—সে বিষয়ে তিনি সরাসরি মন্তব্য না করলেও দলীয় অবস্থান থেকে দূরে যাননি।

এই সাক্ষাৎকারে রাজনৈতিক পুনরাগমন এবং আওয়ামী লীগের ভবিষ্যৎ নিয়ে নতুন করে আলোচনা শুরু হয়েছে।

news