আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ এ মানবতাবিরোধী অপরাধের এক মামলায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ তিনজনের বিরুদ্ধে সূচনা বক্তব্য ও সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হচ্ছে রোববার। বিচারিক কার্যক্রম বিটিভিতে সরাসরি সম্প্রচার করা হবে।
ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বে তিন সদস্যের বেঞ্চ এ মামলার শুনানি পরিচালনা করবেন। অন্যান্য সদস্যদের মধ্যে রয়েছেন বিচারপতি শফিউল আলম মাহমুদ ও বিচারক মোহিতুল হক এনাম চৌধুরী।
এ মামলায় শেখ হাসিনার পাশাপাশি সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল ও সাবেক পুলিশ মহাপরিদর্শক চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুনকে আসামি করা হয়েছে। গত ১০ জুলাই আনুষ্ঠানিকভাবে অভিযোগ গঠন করা হয়।
মামলায় পাঁচটি অভিযোগ আনা হয়েছে। প্রথম অভিযোগে বলা হয়েছে, ১৪ জুলাইয়ের সংবাদ সম্মেলনে শেখ হাসিনা ছাত্র আন্দোলনকারীদের বিরুদ্ধে উসকানিমূলক বক্তব্য দেন, যার পরিপ্রেক্ষিতে নিরস্ত্র জনতার ওপর হামলা চালানো হয়।
দ্বিতীয় অভিযোগে হেলিকপ্টার ও ড্রোন ব্যবহার করে আন্দোলনকারীদের নির্মূল করার নির্দেশ দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। তৃতীয় অভিযোগে রংপুরে এক ছাত্রকে গুলি করে হত্যার ঘটনা অন্তর্ভুক্ত হয়েছে।
চতুর্থ অভিযোগে চানখাঁরপুলে ছয়জনকে গুলি করে হত্যা এবং পঞ্চম অভিযোগে আশুলিয়ায় ছয়জনকে আগুনে পুড়িয়ে হত্যার ঘটনা উল্লেখ করা হয়েছে। অভিযোগগুলোতে শেখ হাসিনার সর্বোচ্চ দায়িত্বের কথা বলা হয়েছে।
প্রসিকিউটর গাজী এমএইচ তামিম জানান, রোববার সূচনা বক্তব্য ও সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হবে। বিচারিক কার্যক্রম সরাসরি সম্প্রচারের মাধ্যমে জনগণ দেখতে পারবেন।
শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে এ পর্যন্ত ট্রাইব্যুনালে চারটি মামলা হয়েছে। গত ২ জুলাই আদালত অবমাননার এক মামলায় তাকে ছয় মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। এটিই তার ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর প্রথম সাজাপ্রাপ্তি।
আওয়ামী লীগ শাসনামলে গুম-খুন ও নির্যাতনের আরেকটি মামলায় শেখ হাসিনাসহ ১১ জনকে অভিযুক্ত করা হয়েছে। আগামী ২৪ আগস্ট এ মামলায় তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করা হবে।
এছাড়া মতিঝিল শাপলা চত্বর সহ বিভিন্ন স্থানে হেফাজত কর্মীদের হত্যা-নির্যাতনের অভিযোগে আরেকটি মামলায় শেখ হাসিনাকে আসামি করা হয়েছে। এ মামলার তদন্ত প্রতিবেদন আগামী ১২ আগস্ট দাখিল করা হবে।
