দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) দায়ের করা মামলায় এলডিপির মহাসচিব ও সাবেক প্রতিমন্ত্রী ড. রেদোয়ান আহমেদকে স্থায়ী জামিন দিয়েছেন ঢাকার একটি আদালত। 

বুধবার শুনানি শেষে ঢাকা মহানগর জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ কে এম ইমরুল কায়েশ জামিনের আবেদন মঞ্জুর করেন। এরআগে ৭ জুলাই তিনি আত্মসমর্পণ করে জামিন চান। বিচারক ১৩ জুলাই এই মামলার পরবর্তী শুনানির তারিখ নির্ধারণ করেন। 

কুমিল্লার চান্দিনা আসন থেকে চারবার নির্বাচিত সংসদ ড. রেদোয়ান আহমেদ ও তার স্ত্রী মমতাজ আহমেদ এর বিরুদ্ধে গত ২০০৭ সালের ১৯ ডিসেম্বর  ২ কোটি ৯৫ লাখ টাকার আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন ও ৪ কোটি ৫ লাখ টাকার সম্পদের তথ্য গোপনের অভিযোগ এনে রমনা থানায় মামলা দায়ের করেন দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

ওই মামলায় হাইকোর্ট একটি রিট আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ২০০৮ সালের জুলাই মাসে মমতাজ আহমেদের বিরুদ্ধে বিচারিক কার্যক্রম বাতিল করে। স্বামীকে অবৈধ সম্পদ অর্জনে সহায়তার অভিযোগে মমতাজের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছিল।

চলতি বছরের ৯ মে হাইকোর্ট রেদোয়ান আহমেদের জামিন বাতিল করে এবং তাকে নিম্ন আদালতের কাছে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। বিচারিক আদালতকে রেদোয়ান আহমেদ এর বিরুদ্ধে আনা দুর্নীতির মামলার বিচার কার্যক্রম ১ বছরের মধ্যে শেষ করার নির্দেশ দেন সর্বোচ্চ আদালত।

এর আগে, ২০০৮ সালে এ মামলার কার্যক্রম বাতিলের জন্য রেদোয়ান আহমেদের রিট আবেদন নাকচ করে বিচারিক কার্যক্রম আবারও শুরুর নির্দেশ দিয়েছিলেন হাইকোর্ট।

২০০৮ সালে রেদোয়ানের করা রিট আবেদনের শুনানির পর আদালত তাকে জামিন দেন। আদালত একইসঙ্গে এই মামলার বিচারিক কার্যক্রমের উপর স্থগিতাদেশ দেন এবং রুল দেন, কেন এই কার্যক্রমকে বাতিল করা হবে না। দুদককে রুলের জবাব দিতে বলা হয়।

২০০৮ এর ৮ জুলাই, এ মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও দুদকের তৎকালীন সহকারী পরিচালক শাহীন আরা মমতাজ সাবেক প্রতিমন্ত্রী ড. রেদোয়ান আহমেদ ও তার স্ত্রী মমতাজ আহমেদের বিরুদ্ধে চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেটের আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন। অভিযোগপত্রে তিনি রাষ্ট্রপক্ষসহ ৩৫ জন সাক্ষীর নাম উল্লেখ করেন।

news