নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের লাগামহীন উর্দ্ধগতিতে সাধারণ মানুষের জীবন ওষ্টাগত। অন্যদিকে সাধারণ মানুষ এখনো করোনা পরিস্থিতি কাটিয়ে উঠতে পারে নাই। এই সকর কিছু বিবেচনা করে সাধারণ মানুষের স্বার্থের চিন্তা করে মেট্রোরেলের ভাড়া পুনর্বিবেচনা করার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি-বাংলাদেশ ন্যাপ।
বৃহস্পতিবার (৮ সেপ্টেম্বর) গণমাধ্যামে প্রেরিত এক বিবৃতিতে পার্টির চেয়ারম্যান জেবেল রহমান গানি ও মহাসচিব এম. গোলাম মোস্তফা ভুইয়া এ দাবী জানান।
তারা বলেন, সরকার জনকল্যাণের কথা চিন্তা করেই মেট্রোরেল নির্মান করেছে বলে দেশেই মানুষ বিশ্বাস করতে চায়। কিন্তু, সরকারের ভুলনীতির কারণে যদি গণমানুষের কল্যাণের জন্য নির্মিত সেই মেট্রারেলে যেন জনগণ উঠতে না পারে, এমনভাবে ভাড়া নির্ধারণ করা হয়েছে। যাতে করে জনমনে এক ধরনের হতাশা সৃষ্টি হচ্ছে।
নেতৃদ্বয় মেট্রারেলে প্রতি কিলোমিটারে পাঁচ টাকা এবং সর্বনিম্ন ২০ টাকা ভাড়া নির্ধারণের সরকারি সিদ্ধান্তের তীব্র সমালোচনা করে বলেন, বেসরকারি বাসের সর্বনিম্ন ভাড়া যেখানে ১০ টাকা, সেখানে রেলের মতো রাষ্ট্রীয় পরিবহণ সংস্থার দ্বিগুণ ভাড়া সম্পূর্ণ অন্যায্য, অনাকাঙ্খিত, অগ্রহণযোগ্য ও জনস্বার্থ বিরোধী। এর ফলে যেমন সাধারণ জনগণের যাতায়াত ব্যয় বেড়ে যাবে, তেমনিক বাস-মিনিবাসসহ বেসরকারি পরিবহণ মালিকেরা বেশি লাভবান হবেন। বাসের ভাড়া বৃদ্ধির পর তা দিতেই সাধারণ মানুষের জীবন ওষ্টাগত যখন, তখন তার চেয়ে বেশি ভাড়া নির্ধারণ করলে তা তাদের উপর খাঁড়ার ঘা হিসেবে ব্যবহার হবে।
তারা বলেন, জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধির কারণে পরিবহণ ব্যয় অত্যাধিক বৃদ্ধি পাওয়ার পাশাপাশি ওষুধসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের লাগামহীন ঊর্ধ্বগতির ফলে জনগণের জীবনযাত্রার ব্যয় ৪০ শতাংশেরও বেশি বৃদ্ধি পেয়েছে। স্বল্প ও নির্দিষ্ট আয়ের মানুষ সংসার চালাতে হিমশিম খাচ্ছে। এমন অবস্থায় মেট্রোরেলের অস্বাভাবিক ভাড়া নির্ধারণ করে আগাম ঘোষণা সাধারণ মানুষের জীবনে নতুন কোনো আশার সঞ্চার করতে পারেনি।
বাংলাদেশ ন্যাপ নেতৃদ্বয় বলেন, সাধারণ মানুষের ভাবনা ছিল-সরকারের পক্ষ থেকে কষ্ট কমানোর জন্য মেট্রোরেলের ব্যবস্থা করছে, কিন্তু এই ভাড়া নির্ধারণ তাদের সকল আশার গুড়ে বালি।
তারা বলেন, মেট্রোরেলের সর্বনিন্ম ভাড়া নির্ধারণ হওয়া উচিৎ সর্বোচ্চ ১০ টাকা, কিলোমিটারপ্রতি যা ৩ টাকা হতে পারে; একই সঙ্গে মতিঝিল পর্যন্ত ভাড়া সর্বোচ্চ ৫০ টাকা নির্ধারিত হলেই কেবলমাত্র প্রমাণিত হবে যে, সরকার উন্নয়নের ক্ষেত্রে নিন্মবিত্ত থেকে শুরু করে সকল শ্রেণি পেশার মানুষের কথা ভাবছে সরকার। অন্যথায় প্রমানিত হবে যে উন্নয়ন চলছে তা লুটরাদের স্বার্থেই-জনগনের স্বার্থে নয়।