শেরপুরে বিএনপি-পুলিশ সংঘর্ষ, ৬ পুলিশসহ আহত অর্ধশতাধিক, আটক ১৬
শেরপুরে কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে বিএনপির বিক্ষোভ মিছিল শুরুর সময় পুলিশের সাথে সংঘর্ষ ও ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ টিয়ার শেল ও রাবার বুলেট ছুড়েছে। এ ঘটনায় ৬ পুলিশ সদস্যসহ অর্ধশতাধিক বিএনপি নেতা-কর্মী আহত হয়েছে। আজ মঙ্গলবার (২২ নভেম্বর) বিকালে শহরের রঘুনাথবাজার এলাকায় এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এদিকে সংঘর্ষের পর আতঙ্কে শহরের সব দোকানপাট বন্ধ হয়ে যায়। তবে বর্তমানে পরিস্থিতি পুলিশের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।
বিএনপি ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুরে পুলিশের গুলিতে এক ছাত্রদল কর্মী নিহত এবং শেরপুরের শ্রীবরদী উপজেলা তাঁতীদলের সমাবেশ শেষে ১৫ নেতা-কর্মীকে আটকের প্রতিবাদে কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসাবে বিক্ষোভ সমাবেশের আয়োজন করে জেলা বিএনপি। মঙ্গলবার বিকাল তিনটার দিকে জেলা বিএনপির সভাপতি মাহমুদুল হক রুবেলের বাসা থেকে একটি শান্তিপূর্ণ মিছিল বের হয়ে জেলা বিএনপির কার্যালয়ে যাওয়ার পথে রঘুনাথবাজার এলাকায় পুলিশের বাঁধার মুখে পড়ে। এসময় পুলিশ ও বিএনপি কর্মীদের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া শুরু হয়। পুলিশ নেতা-কর্মীদের বেধড়ক লাঠি চার্জ করে ছত্রভঙ্গ করে দেয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ টিয়ার শেল ও রাবার বুলেট নিক্ষেপ করে। সংঘর্ষে ৬ পুলিশ সদস্যসহ অর্ধশতাধিক বিএনপি নেতা-কর্মী আহত হয়েছেন। এ ঘটনায় তাৎক্ষণিক বিএনপির ১৬ নেতা-কর্মীকে আটক করেছে পুলিশ।
জেলা বিএনপির সভাপতি মাহমুদুল হক রুবেল জানান, শ্লোগান ও কোন রকমের প্রস্তুতি ছাড়াই জেলা বিএনপির কার্যালয়ে শান্তিপূর্ণভাবে মিছিল নিয়ে যাওয়ার সময় পুলিশ তাদের বাঁধা দেয় এবং তাঁদের উপর আক্রমণ চালায়। এতে বিএনপির প্রায় একশ নেতা-কর্মী আহত হয়েছেন। তিনি এই ঘটনার তীব্র নিন্দা জানান।
শেরপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মোহাম্মদ হান্নান মিয়া জানান, বিএনপির মিছিল থেকে কোনরকম উসকানি ছাড়াই পুলিশের উপর হামলা চালানো হয়েছে। পরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে টিয়ারশেল ও রাবার বুলেট ছুড়া হয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে।