ভারতের কিংবদন্তি ব্যাটার বিরাট কোহলি দ্বিতীয় ওয়ানডেতে আবারও ব্যর্থ — আর এইবার তার শিকার অস্ট্রেলিয়ান পেসার জেভিয়ার বার্টলেট। বৃহস্পতিবার (২৩ অক্টোবর) অ্যাডিলেড ওভালে কোহলিকে শূন্য রানে ফেরানোর পর থেকে সোশ্যাল মিডিয়ায় শুরু হয়েছে ঝড়।
কেউ বার্টলেটের প্রশংসায় ভাসালেও, অসংখ্য ভারতীয় সমর্থক তাকে নিশানায় নিয়েছেন।
ক্যারিয়ারে প্রথমবার পরপর দুই ম্যাচে ‘ডাক’ বিরাটের
এ যেন অবিশ্বাস্য! ক্যারিয়ারের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো পরপর দুই ওয়ানডেতে ডাক (০ রান) করলেন বিরাট কোহলি।
সিরিজের প্রথম ম্যাচে পার্থে মিচেল স্টার্ক করেছিলেন তার উইকেট, আর দ্বিতীয় ম্যাচে বার্টলেটের এক তীক্ষ্ণ ইনসুইংগার ফাঁদে ফেলে কোহলিকে হাঁটু গেড়ে বসতে বাধ্য করে।
ভারত ব্যাট করতে নামে টসে হেরে, সপ্তম ওভারেই এল বিপর্যয়।
গিল আউট হওয়ার পর ক্রিজে আসেন কোহলি, কিন্তু চার বল টিকতেই ইনসুইংগারে প্যাডে লাগে বল — সঙ্গে সঙ্গে আম্পায়ারের আঙুল ওঠে আকাশে।
রোহিত শর্মার সঙ্গে রিভিউ নেওয়া নিয়ে কিছুক্ষণ আলোচনা করলেও সময় শেষ হয়ে যায়। কোহলি রিভিউ না নিয়েই ফিরে যান সাজঘরে।
অ্যাডিলেডের দর্শকরা দাঁড়িয়ে করতালি দেয় এই কিংবদন্তির বিদায় মুহূর্তে। কোহলি গ্লাভস নাড়িয়ে ধন্যবাদ জানান ভক্তদের।
সোশ্যাল মিডিয়ায় ঝড়! বার্টলেটের ইনস্টাগ্রাম ভরে গেল কোহলি ভক্তদের মন্তব্যে
কোহলিকে আউট করার পর থেকেই জেভিয়ার বার্টলেটের সোশ্যাল মিডিয়া একাউন্টে হুমড়ি খেয়ে পড়েন ভারতীয় ভক্তরা।
মাত্র কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই তার আগস্ট মাসের পুরনো একটি ইনস্টাগ্রাম পোস্টে জমে যায় ৩,৫০০-রও বেশি নতুন মন্তব্য।
অনেকেই সেখানে কোহলির ছবি, জিআইএফ ও প্রশংসাসূচক মন্তব্যে ভরিয়ে দেন কমেন্ট বক্স।
তবে বার্টলেট কিন্তু দেখিয়েছেন সম্মান। ম্যাচের বিরতিতে তিনি বলেন,
“সম্ভবত কোহলি বিশ্বের অন্যতম সেরা হোয়াইট-বল ব্যাটার। তাকে আউট করতে পারা ভাগ্যের ব্যাপার। আমি মূলত আউটসুইং দিতে চেয়েছিলাম, কিন্তু বলটা ভিতরে ঢুকে যায়। ভাগ্য একটু সহায় ছিল।”
জহির খানের মন্তব্য: ‘দুই ম্যাচ, দুই ডাক—এও ক্রিকেটের অংশ’
ভারতের সাবেক তারকা পেসার জহির খান মনে করেন, এই ব্যর্থতা নিয়ে বাড়াবাড়ি করার কিছু নেই।
ক্রিকবাজকে তিনি বলেন,
“এমন সময় আসে, দুই ম্যাচে দুই ডাক—এটা বিশ্বাস করা কঠিন, কিন্তু এমনটা সেরাদের সঙ্গেও হয়। বিরাট ও রোহিতের মতো খেলোয়াড়দের নিয়ে প্রশ্ন তোলার কোনো মানে নেই।”
তিনি আরও যোগ করেন,
“কোহলি নিশ্চয়ই খুশি নয় নিজের পারফরম্যান্সে, কিন্তু এমন সময় আসে। এখন দরকার শুধু এগিয়ে যাওয়া এবং নতুনভাবে শুরু করা।”
