মোস্তাফিজ চমকের পর কষ্টের জয় দিল্লির

পয়েন্ট টেবিলে কলকাতা নাইট রাইডার্স ও দিল্লি ক্যাপিটালস রয়েছে শেষের দিকে। দু’দলের জন্য এই ম্যাচগুলো বেশ গুরুত্বপূর্ণ। বলতে গেলে জয়ের বিকল্প নেই কারো। সন্ধ্যায় সাত নম্বরে থাকা দিল্লি ক্যাপিটালস মুখোমুখি হয় নাইট রাইডার্সের। দিল্লি টস জিতে আগে ব্যাট করতে পাঠায় কলকাতাকে। ব্যাট করতে নেমে দিল্লির বোলারদের তোপে ৩৫ রানেই ৪ উইকেট হারিয়ে ধুঁকতে থাকে কলকাতা।

তবে অধিনায়ক শ্রেয়াস আইয়ারের সঙ্গে নিতিশ রানার ৪৮ রানের জুটি এগিয়ে নেয় দলকে। আইয়ার ৩৭ বলে ৪২ রান করে ফেরেন সাজঘরে। দলের বিপাকে নিতিশ রানা তুলে নেন অর্ধশতক।

এদিন শুরু থেকে বল হাতে বেশ কিপটে ছিলেন মোস্তাফিজুর রহমান। প্রথম দুই ওভারে ৭ রান দিলেও তৃতীয় ওভারে দুটি চার আসে তার ওভার থেকে।

তবে শেষ ওভারের জন্য তুলে রেখেছিলেন সেরাটা। ইনিংসের শেষ ওভার করতে এসে প্রথম বলে ১ রান দিলেও পরের বলেই তুলে নেন উইকেট। ২৩ রান করা রিংকু সিংকে ফেরান সাজঘরে।

তৃতীয় বল থেকে এক রান আসলেও চতুর্থ বলে ফেরান ৫৭ রান করা নিতিশ রানাকে। অফ সাইডে থাকা চেতন সাকারিয়া নেন দুর্দান্ত ক্যাচ। পঞ্চম বলে আবারও উইকেট। এবার সোজা স্টাম্প উপড়ে ফেলেন টিম সাউদির। শেষ বলে আসেনি কোনও রান। চার ওভারে ১৮ রান দিয়ে তুলে নিয়েছেন ৩টি উইকেট।

এখন পর্যন্ত চলতি আইপিএলে মোস্তাফিজের সেরা বোলিং ফিগার এটিই। কলকাতা নির্দিষ্ট ওভার শেষে ৯ উইকেটে সংগ্রহ করেছে ১৪৬ রান।

ছোট লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে ইনিংসের প্রথম বলেই উমেশ যাদবের বলে বিদায় নেন পৃথ্বী শ্ব। এরপর ডেভিড ওয়ার্নার আগলে রাখেন একপ্রান্ত। মিচেল মার্শ ১৩ রান করে ফেরেন সাজঘরে।

তবে ললিত যাদব ও ওয়ার্নারের জুটিটা বেশ বড় হয়। ওয়ার্নার ২৬ বলে ৮ চারে ৪২ রানের ইনিংস খেলে বিদায় নেয়ার পর আবার চাপে পড়ে দিল্লি। ললিত সাজঘরে ফেরেন ২২ রান করে। এরপর আক্সার প্যাটেল করেন ২৪ রান।

ছোট লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমেও জয় পেতে দিল্লিকে খেলতে হয়েছে ১৯ ওভার পর্যন্ত। শেষ দিকে রোভম্যান পাওয়েলের অপরাজিত ৩৪ (১৬) রানের দুর্দান্ত ইনিংসে ভর করে ৪ উইকেটের জয় তুলে নেয় দিল্লি ক্যাপিটালস।

news